দেখালে হবে না, খেতে হবে কাঁচকলা

চিকিৎসকরাও কাঁচকলা খাবার উপদেশ দিয়ে থাকেন। কেন বলেন, কি আছে এতে? কাঁচকলায় রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬ ও ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফেট।

এতে কার্বোহাইড্রেট কমপ্লেক্স স্টার্চ হিসেবে থাকে। কাঁচকলার ভিটামিন বি-৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৪ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এই জন্য রোগীর পথ্য হিসেবে কাঁচকলা বেশ পরিচিত।

জেনে নেই কাঁচকলার উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ :

ওজন কমায়

কাঁচকলার ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে তাই ক্যালরিবহুল অন্য খাবার থেকে বিরত থাকা যায়। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের খাদ্য তালিকায় রাখুন কাঁচ কলা। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় মেদ বার্ন করতে বা কাটতেও সাহায্য করে।

শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে

কাঁচকলা আঁশযুক্ত হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

হজমে সাহায্য করে

কাঁচকলা পেটের ভিতরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজমযোগ্য। তাছাড়া কাঁচ কলায় থাকা এনজাইম ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

কাঁচকলায় প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। এই পটাশিয়াম হৃদরোগে উপকারী। তাই নিয়মিত কাঁচকলা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।

কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

কাঁচকলা কোলন থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু এবং ইনফেকশন দূর করে কোলনকে সুস্থ রাখে। দীর্ঘমেয়াদী কোলন সংক্রান্ত রোগ দূর করতে কাঁচ কলা বেশ কার্যকরী।

এছাড়া কাঁচকলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস দেহের হাড় মজবুত এবং হাড় ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। শরীরের জন্য অতি উপকারি এই সবজিটি রাখতে পারেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।

One thought on “দেখালে হবে না, খেতে হবে কাঁচকলা

  • March 3, 2021 at 11:11 am
    Permalink

    কিডনি রোগী কি কাঁচকলা খেতে পারবে?

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 16 =