ক্যান্সার চিকিৎসায় হলুদঃ মিলল পেটেন্ট

ক্যান্সার চিকিৎসায় হলুদের গুঁড়ার মিশ্রণের অণু ‘কারকিউমিন’ ব্যবহার করে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণা পদ্ধতিকে পেটেন্ট দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছে আমেরিকা। তামিলনাড়ুর তিরুঅনন্ত-পুরমের শ্রী চিত্রা তিরুনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিক্যাল সায়েন্সেস এন্ড টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা মার্কিন এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। শ্রী চিত্রা তিরুনাল ইনস্টিটিউটের গবেষক দলের প্রধান লিসি কৃষ্ণাণ বলেন, হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে। হলুদের উপাদান ‘কারকিউমিন’ সরাসরি ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের ওপর প্রভাব ফেলে। অন্য কোনো পদ্ধতিতে ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে গেলে সাধারণত ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ ছাড়াও অন্যান্য কোষেও তার প্রভাব পড়ে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের আশপাশের সুস্থ কোষগুলোতে তার কোনো প্রভাব পড়ে না।

কৃষ্ণাণ-এর মতে, হলুদের মধ্যে ক্যান্সার নিরাময়ের অনেক উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো এই কারকিউমিন। কারকিউমিন শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে রক্ত জমাট বাঁধা ঠেকায়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চের অনুদানে গঠিত এই সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল হলুদের এই উপাদান এমনভাবে ব্যবহার করা যা সরাসরি ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই কারকিউমিন টিস্যু ফ্লুইডের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। শ্রী চিত্রা তিরুনাল ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা আশা কিশোর বলেন, একবার ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাদ দেয়ার পরও তা অন্য কোষে ছড়িয়ে ফের ক্যান্সার ফিরে আসার আশঙ্কা থাকে। এই আশঙ্কাকেই শেষ করে দেয় কারকিউমিন। তিনি বলেন, একবার অস্ত্রোপচার হয়ে যাওয়ার পর ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোর আশপাশের কোষকে সুরক্ষিত রাখে হলুদের এই উপাদান। সেখানে কোনো রকমের রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে নতুন করে ক্যান্সার ফিরে আসার আশঙ্কাও থাকে না।

ইতিমধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত বিভিন্ন পশুর শরীরে হলুদের কারকিউমিন অণু ব্যবহার করে চিকিৎসা পদ্ধতিতে সফলতা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে শ্রী চিত্রা তিরুনাল ইনস্টিটিউট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + 6 =

preload imagepreload image