আম বাগানের বছরব্যাপী পরিচর্যার মাসিক পঞ্জিকা

   অগ্নিভ  হালদার এবং প্রদীপ্ত  কুমার  মুখোপাধ্যায় ## আম আমাদের দেশের সব ফলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং এটি আমাদের দেশের জাতীয় ফলও বটে। স্বাদে গুনে, রুপে ও রসে অতুলনীয়, তাই আমকে ফলের রাজা বলা হয়। আমাদের দেশে আম চাষ অতি প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। ভারতের প্রায় সব রাজ্যেই কম বেশী আম চাষ হয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী হয় যথাক্রমে উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, তেলাঙ্গনা, বিহার, গুজরাট, তামিলনাড়ু  ও পশ্চিমবঙ্গে। এছাড়া, উড়িষ্যা, মহারাষ্ট্র, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব প্রভৃতি রাজ্যেও প্রচুর আম চাষ হয়। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং ছাড়া প্রায় সব জেলাতেই কম বেশী আমের চাষ হয়। মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলা আম চাষে উল্লেখযোগ্য, মালদহতেই প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয় । এছাড়া হুগলী, উত্তর ২৪ পরগনা ও বর্ধমান জেলাতেও ভালো আম চাষ হয়। চাষিবন্ধুরা সঠিক এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক পদ্ধতিতে আম চাষ করলে অনেক বেশী এবং

Read more

কচুরি পানা দিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরী

অগ্নিভ হালদার ## কম্পোস্ট তৈরীর জন্য খড়কুটা, ঝরাপাতা, আগাছা, আবর্জনা, ফসলের অবশিষ্টাংশ একত্রে মিশিয়ে পচানো হয়-যা থেকে উৎকৃষ্ট মানের কম্পোস্ট উৎপাদন সম্ভব। বর্ষায় ডোবা-নালাসহ জলাঞ্চলগুলো কচুরিপানায় ভরে ওঠে। যার ফলে জল দূষিত হয় এবং মশার উপদ্রব বাড়ে। অথচ এই কচুরিপানাকেই আমরা কম্পোস্টের আসল কাঁচামাল হিসাবে গণ্য করতে পারি।  আমরা সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে কম্পোস্ট তৈরী করতে পারি- ১। স্তূপ পদ্ধতি ২। গর্ত পদ্ধতি স্তূপ পদ্ধতি অতিবৃষ্টি ও বন্যাযুক্ত এলাকার জন্য স্তূপ বা গাদা পদ্ধতিতে কম্পোস্ট সার তৈরী করতে হবে। বসতবাড়ির আশপাশে, পুকুর বা ডোবার ধারে কিংবা ক্ষেতের ধারে যেখানে বন্যার কিংবা বৃষ্টির জল দাঁড়াবার কোন সম্ভাবনা নেই এমন জায়গাকে স্তূপ পদ্ধতিতে কম্পোস্ট সার তৈরীর স্থান হিসাবে নির্বাচন করতে হবে। স্তূপের উপরে চালা দিতে হবে অথবা গাছর নিচে স্থান নির্বাচন করতে হবে যাতে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়। স্তূপের আকার এই পদ্ধতিতে গাছের ছায়ায় মাটির ওপর ৩ মিটার দৈর্ঘ্য ১.২৫ মিটার প্রস্থ ও ১.২৫ মিটার উচুঁ গাদা তৈরী করুন। আপনার সুবিধা অনুযায়ী এই মাপ কম-বেশি করতে পারেন। প্রথমত কচুরিপানা অথবা অন্যান্য আবর্জনা ফেলে ১৫ সে. মিটার স্তূপ তৈরী করুন। স্তর সাজানোর আগে কচুরিপানা টুকরা করে ২/৩ দিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার সাজানো স্তরের ওপর ২০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ২০০ গ্রাম এসএসপি ছিটিয়ে দেয়ার পর স্তরের উপরিভাগে ২.৫/৫ সে. মি. পুরু করে কাদা ও গোবরের প্রলেপ দিয়ে দিন। এতে পচন ক্রিয়ার গতি যেমন বাড়বে অন্যদিকে সুপার কম্পোস্ট তৈরী হবে। এভাবে ১.২৫ মিটার উঁচু না হওয়া পর্যন্ত ১৫ সে. মি. পুরু স্তর সাজানোর পর পর ইউরিয়া ও এসএসপি দিয়ে তার ওপর গোবর ও কাদা মাটির প্রলেপ দিন। গাদা তৈরী শেষ হয়ে গেলে গাদার ওপর মাটির প্রলেপ দিয়ে ছাউনির ব্যবস্থা করুন। কম্পোস্ট স্তূপ পরীক্ষা কম্পোস্ট স্তূপ তৈরী করার এক সপ্তাহ পর শক্ত কাঠি গাদার মাঝখানে ঢুকিয়ে দেখুন গাদা অতিরিক্ত ভেজা কিনা। যদি ভেজা হয় তবে গাদার উপরিভাগে বিভিন্ন অংশে কাঠি দিয়ে ছিদ্র করে দিনে যেন বাতাস ঢুকতে পারে। ২/৩ দিন পর গর্ত বা ছিদ্রগুলো মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিন। আবার গাদা অতিরিক্ত শুকিয়ে গেলে ছিদ্র করে জল অথবা গো-চনা ঢেলে দিন। এতে সার ভালো হবে। কম্পোস্ট তাড়াতাড়ি পচে সার হওয়ার জন্য স্তর সাজানোর ১ মাস পর প্রথমবার এবং ২ মাস পর দ্বিতীয় বার গাদার স্তরগুলো উল্টিয়ে দিন। এ সময় কম পচা আবর্জনাগুলো গাদার মাঝখানে রাখুন। আবর্জনা সার ঠিকমতো পচলে ধূসর বা কালো বর্ণ ধারণ করবে এবং আঙ্গুলে চাপ দিলে যদি গুঁড়ো হয়ে যায় তবে মনে করবেন মাঠে ব্যবহারের উপযোগী হয়েছে। উল্লেখিত পর্দাথের মাপগুলো যদি ঠিকমত দেওয়া হয় তবে এ জাতীয় কম্পোস্ট গাদা ৩ মাসের মধ্যে উন্নতমানের সারে রূপান্তরিত হয়। গর্ত পদ্ধতি জল দাঁড়ায় না কিংবা কম বৃষ্টিপাত এলাকায় অথবা শুকনো মৌসুমে গর্ত পদ্ধতিতে কম্পোস্ট তৈরী করা যায় । গাছের ছায়ার নিচে বাড়ির পেছন দিকে অথবা গোশালার পাশেই কম্পোস্ট গর্ত তৈরী করা সব দিক থেকে সুবিধাজনক। আপনার প্রাপ্ত স্থানের সাথে সঙ্গতি রেখে গর্ত তৈরী করুন। তবে ১.২৫ মিটার প্রস্থ, ১ মিটার গভীর ও ২.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি গর্ত তৈরী করুন। গর্তের তলায় বালু অথবা কাঁকর দিয়ে দুরমুশ করে দিন যাতে জলীয় পদার্থ শোষণ করে নিতে পারে। প্রয়োজনে ধানের খড়ও বিছিয়ে দিতে পারেন, তাও সম্ভব না হলে গোবর কাদার সাথে মিশিয়ে গর্তের তলা এবং চারপাশে লেপে দিন। মনে রাখবেন গর্তের ওপর দিকে ভুমি থেকে খানিকটা উঁচু করে আইল তৈরী করে দিতে হবে যাতে কোন রকমে জল গড়িয়ে গর্তে পড়তে না পারে। এবার গাদা পদ্ধতির মতো করে গর্তে কচুরিপানা স্তরে স্তরে সাজিয়ে কম্পোস্ট তৈরী করুন। অথবা গোয়াল ঘরে গোবর, গো-চনা, পাতা, আখের ছোবড়া, কলাপাতা যাবতীয় উচ্ছিষ্ট অংশ গর্তে ফেলুন। সম্ভব হলে গো-চনার সাথে কাঠের গুঁড়ো মিশিয়ে দিতে পারলে ভাল হয়। এমনি এক একটি স্তরের ওপর মাটির প্রলেপ দিয়ে দিন। প্রত্যেকটি স্তর তৈরীর পর মাটির প্রলেপ দেয়ার আগে পরিমান মতো ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিন। এরূপ একটি গর্তে তিন টন আবর্জনার জন্য ১/২ কেজি ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হবে।

Read more

আর্থিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে বেলি ফুল চাষ

 অগ্নিভ হালদার ## পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ উৎসব অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ফুলের তোড়া, ফুলের মালাতে সুগন্ধীফুল হিসাবে বেলির কদর আছে। উৎসব ও অনুষ্ঠান বেলিফুল ব্যবহৃত হয়। এটি একটি অর্থকরী ফুল। জাত: তিন জাতের বেলি ফুল দেখা যায়। যথা: ১। সিঙ্গল ধরনের ও অধিক গন্ধযুক্ত। ২। মাঝারি আকার ও ডবল ধরনের। ৩। বৃহদাকার ডবল ধরনের। বংশ বিস্তার বেলি ফুল গুটি কলম, দাবা কলম ও ডাল কলম পদ্ধতির মাধ্যমে বংশবিস্তার করা হয়। জমি চাষ ও সার প্রয়োগ বেলে মাটি ও ভারী এঁটেল মাটি ব্যতীত সব ধরনের মাটিতে বেলি ফুল চাষ করা যায়। জমিতে জল সেচ ও জল নিকাশের ব্যবস্থা থাকা ভালো। জমি ৪-৫টি চাষ ও মই দিয়ে ঝুরঝুরা ও সমান করতে হবে। জমি তৈরির সময় জৈব সার, ইউরিয়া, ফসফেট এবং এমওপি প্রয়োগ করতে হবে। প্রায় ১ মিটার অন্তর চারা রোপণ করতে হবে। চারা লাগনোর পর ইউরিয়া প্রয়োগ করে জল সেচ দিতে হবে। কলম বা চারা তৈরি গ্রীষ্মের শেষ হতে বর্ষার শেষ পর্যন্ত বেলি ফুলের কলম বা চারা তৈরি করা যায়। চারা থেকে চারা ও সারি থেকে সারির দূরত্ব ৫০ সেমি. হতে হবে। চারা লাগনোর জন্য গর্ত খুঁড়ে গর্তের মাটির রোদ খাইয়ে, জৈব সার ও কাঠের ছাই গর্তের মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। এরপর প্রতি গর্তে বেলির কলম বসাতে হবে। বর্ষায় বা বর্ষার শেষের দিকে কলম বসানোই ভালো। তবে সেচের ব্যবস্থা ভালো হলে বসন্তকালেও কলম তৈরি করা যায়। টবে চারা লাগনো জৈব পদার্থ যুক্ত দোআঁশ মাটিতে ইউরিয়া, এসএসপি ও এমওপি সার পরিমাণমতো মিশিয়ে টবে বেলি ফুলের চাষ করা যায। টব ঘরের বারান্দা বা ঘরের ছাদে রেখে দেওয়া যায়। পরিচর্যা সেচ দেওয়া বেলি ফুলের চাষে জমিতে সবসময় রস থাকা দরকার। গ্রীষ্মকালে ১০-১২ দিন পরপর শীতকালে ১৫-২০ দিন পর পর ও বর্ষাকালে বৃষ্টি সময়মতো না হলে জমির অবস্থা বুঝে ২-১ টি সেচ দেওয়া দরকার। আগাছা দমন

Read more

নতুন প্রযুক্তি : কুইক কম্পোস্ট

অগ্নিভ হালদার ## মাটির প্রাণ হলো জৈবপদার্থ এবং এই জৈবপদার্থ থাকলেই মাটিতে অণুজীবের মাত্রা ঠিক থাকে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে দিন দিন মাটিতে জৈবপদার্থের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে মাটির উর্বরতা আর আগের মতো থাকছে না। এর কারন হল মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহার। তা ছাড়া নিবিড় ফসল চাষ ও বেশি বেশি খাদ্যবিলাসী ফসলের জাত প্রবর্তিত হওয়ার ফলে একই জমি থেকে ভালো ফলন নিশ্চিত করতে এখন মাটির উর্বরতা তথা

Read more

সহজে মাল্টা মুসাম্বি লেবুর চাষ করে স্বনির্ভর হয়ে উঠুন

অগ্নিভ হালদার ##   বাজারে বহুল প্রচলিত এবং সুমিষ্ট রসযুক্ত যে লেবুকে আমরা মুসাম্বি নামে জানি তা আসলে লেবুর কোন এক ধরন নয় বরং একটি লেবুর জাতের নাম। এই লেবু যার খোসা সহজে ছাড়ানো যায় না এবং সাধারণত রুক্ষ শুষ্ক অঞ্চলে ভালো হয়, আমাদের হর্টিকালচারের পরিভাষায় এই ধরনের লেবুকে বলা হয় সুইট অরেঞ্জ বা মিষ্টি কমলা। এই মিষ্টি কমলার বিভিন্ন প্রচলিত জাত হলো মুসাম্বি, সাতগুদি, মালটা ব্লাড  রেড , বারি মাল্টা  ইত্যাদি। এখন আমরা এই মাল্টা নিয়ে আলোচনা করব। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে এটি চাষ হচ্ছে এবং সেদেশের বাজারেও ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফলটি। ভিয়েতনাম, উত্তর পশ্চিম ভারত ও দক্ষিণ চিন মাল্টার আদি উৎপত্তি স্থল। তবে বর্তমানে এই ফলটি বিশ্বের উষ্ণ ও অব–উষ্ণমণ্ডলীয় এলাকায় বেশী চাষ হচ্ছে। কমলার তুলনায় এর অভিযোজন ক্ষমতা বেশী হওয়ায়, পাহাড়ি এলাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য এলাকায় সহজেই চাষ করা যাচ্ছে। জলবায়ু ও মাটিঃকম বৃষ্টিবহুল সুনির্দিষ্ট গ্রীষ্ম ও শীতকাল অর্থাৎ শুষ্ক ও উষ্ণ জলবায়ু মাল্টা চাষের জন্য সবচেয়ে বেশী উপযোগী। বায়ুমণ্ডলের আদ্রতা ও বেশী বৃষ্টিপাত মাল্টা ফলের গুনাগুণকে প্রভাবিত করে। বাতাসে অধিক আদ্রতা ও বৃষ্টিপ্রবন এলাকায় মাল্টার খোসা পাতলা হয় এবং ফল বেশী রসালো ও নিন্ম মানের হয়। শুষ্ক আবহাওয়ায় ফলের মান ও স্বাদ উন্নতমানের হয়। আদ্র জলবায়ুতে রোগ ও ক্ষতিকর পাকার আক্রমণ বেশী হয়। মাল্টা গাছ আলো পছন্দ করে এবং ছায়ায় বৃদ্ধি ও ফলের গুণগত মান কমে যায়। সব ধরণের মাটিতে জন্মালেও সুনিষ্কাশিত, উর্বর, মধ্যম থেকে হালকা দোয়াস মাটি মাল্টা চাষের জন্য উত্তম। মধ্যম অম্ল থেকে সামান্য ক্ষারীয় মাটিতে মাল্টা জন্মে। তবে ৫.৫ থেকে ৬.৫ (ph) অম্লতায় ভালো জন্মে। জলাবদ্ধতা মোটেও সহ্য করতে পারেনা এবং উচ্চ তাপ ও লবণের প্রতি সংবেদনশীল। মাল্টার বংশ বিস্তার — বীজ ও কলমের মাধ্যমে মাল্টার বংশ বিস্তার করা যায়। তবে বীজের চারা আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়ার সাথে সমন্বয় করে বেশী দিন টিকে থাকতে পারে না। তাই কলমের মাধ্যমেই চারা তৈরি করা উত্তম। তাছাড়া কলমের তৈরি চারায় মাতৃ গুন বজায় থাকে ও দ্রুত ফল ধরে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধী ও বলিষ্ঠ শিকড় সমৃদ্ধ আদি জোড়ের মাধ্যমে কলম করলে গাছের জীবনকাল ও ফলন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। জোড় কলমঃগ্রাফটিং এর জন্য প্রথমে রুটস্টক/এলা উৎপাদন করতে হবে। রুটস্টক হিসেবে বাতাবিলেবু, রাফলেমন, কাটা জামির প্রভৃতি ব্যাবহার হয়। অতপর কাঙ্ক্ষিত মাতৃ গাছ হতে সায়ন/পরশাখী  সংগ্রহ করে রুটস্টকের উপর স্থাপন করে মাল্টার গ্রাফটিং তৈরি করা হয়। রুটস্টক হিসেবে এক থেকে দেড় বসর বয়সের সুস্থ্য, সবল, সোজা, বাড়ন্ত চারা নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচিত মাতৃগাছ হতে সায়ন তৈরির জন্য দুটি চোখ সহ ৫/৬ সেমি লম্বা ও ৮/৯ মাস বয়সের ডাল সংগ্রহ করতে হবে। মধ্য বৈশাখ-মধ্য ভাদ্র (মে- আগস্ট) মাস পর্যন্ত গ্রাফটিং করা যায়। ভিনিয়ার ও ক্লেফট গ্রাফটিং উভয় পদ্ধতিতে মাল্টার কলম তৈরি করা যায়। সাধারণত কলম করার ১০-১৫ দিনের মধ্যে রুটস্টক ও সায়নের মধ্যে সংযোগ স্থাপন হয় ও সায়নের কুঁড়ি ফুটে ডাল বের হয়।কলম হতে একাধিক ডাল বের হলে সুস্থ্য সবল ও সোজা ভাবে বেড়ে ওঠা ডালটি রেখে, বাকীগুলো কেটে ফেলতে হবে। এলা থেকে বাড়ন্ত ডাল নিয়মিত কেটে দিতে হবে। জমি নির্বাচন ও প্রস্তত পদ্ধতিঃসারাদিন রোদ পড়ে ও বৃষ্টির জল জমে না এমন উচু বা মঝারি উচু জমি মাল্টা চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে। আগাছা পরিস্কার ও আশেপাশে উচু গাছ থাকলে ডালা ছেঁটে দিতে হবে। রোপণ পদ্ধতিঃষড়ভুজ বা বর্গাকার পদ্ধতিতে চারা বা কলম রোপণ করতে হবে। মধ্য বৈশাখ থেকে মধ্য ভাদ্র ( মে- আগস্ট) মাস রোপণের উত্তম সময়। তবে জল সেচের ব্যাবস্থা থাকলে সারা বসর রোপণ করা যায়। মাদা তৈরিঃচারা রোপণের ১৫-২০ দিন পূর্বে উভয় দিকে ৫-৬ মিটার দূরত্বে ৭৫x৭৫x৭৫ সেমি মাপে গর্ত খুড়তে হবে। প্রতি গর্তে ১৫ কেজি পচা গোবর, ৪/৫ কেজি ছাই, ১০০গ্রাম এসএসপি, ২৫০ গ্রাম এমওপি, ৫ গ্রাম বরিক এসিড, ৫০০ গ্রাম চুন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে গর্তে ভরে দিতে হবে। গর্ত ভরাট করার ১০-১৫ দিন পরে চারা রোপণ করতে হবে। চারা/ কলম রোপণঃগর্তে সার প্রয়োগের ১০-১৫ দিন পরে চারা/ কলম গর্তের মাঝ বরাবর সোজা করে রোপণ করতে হবে। রোপণের পর খুঁটি দিয়ে বেধে দিতে হবে। প্রয়োজন মত সেচের ব্যাবস্থা করতে হবে। পরিচর্যাঃচারার যথাযথ বৃদ্ধির জন্য সময় মত সঠিক পরিমান ও পদ্ধতিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। ছোট গাছের ক্ষেএে (১-৪ বছর), গোবর ১০-১২ কেজি,ইউরিয়া ২০০-৩০০ গ্রাম, এসএসপি ১০০-১৫০ গ্রাম, এমওপি ১০০-১৫০ গ্রাম, জিংক ১০ গ্রাম ও বরিক ৫ গ্রাম।                      প্রতি বছর উৎকৃষ্ট মানের এবং আকারের লেবু পেতে হলে নিয়ম করে সার দিতে হবে। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, একটি পূর্ণবয়স্ক গাছে (পাঁচ বা তার বেশি বয়স) ৩০ কেজি গোবর বা কম্পোস্ট সার, ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া (, নাইট্রোজেন) , ১৫০ গ্রাম এসএসপি (ফসফরাস) , ৩০০ গ্রাম এমওপি (পটাশ) , ডলোমাইট বা চুন ৩০০ গ্রাম দিতে হবে।  মোট এই সারের পরিমাণ তিনটি পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম পর্যায়ে মানে ফল যখন মটর দানা আকারের হবে, তখন জৈব সারের অর্ধেক অংশ, নাইট্রোজেন সারের তিন ভাগের এক ভাগ, ফসফরাস অর্ধেক অংশ এবং ডলোমাইট বা চুন অর্ধেক দিতে হবে। প্রথম সার প্রয়োগের দু’মাস বাদে দিতে হবে নাইট্রোজেন সারের তিন ভাগের দু’ভাগ, ফসফরাস সারের বাকি অংশ এবং পটাশ সারের অর্ধেক অংশ। শেষ পর্যায়ে মানে আষাঢ় মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে বাকি যা পড়ে রয়েছে, তা প্রয়োগ করতে হবে গাছে। সার দিতে হয় গাছের গোড়া থেকে তিন ফুট দূরে দু’ ফুট চওড়া এবং ছয় ইঞ্চি গভীর গোলাকার রিং-এর ভিতর। প্রতি বছর গাছে দু’বার অণুখাদ্য সার প্রয়োগ করতে হয়। অণুখাদ্য সার জলে গুলে পাতায় স্প্রে করা ভাল। চৈত্র মাসে এক বার ও আষাঢ় মাসে আর এক বার। আগাছা দমনঃবর্ষার পরে সার প্রয়োগের পর গাছের গোঁড়া থেকে একটু দূরে বিভিন্ন লতাপাতা বা খড় দ্বারা বৃত্তাকারে আচ্ছাদিত (মালচিং) করে দিলে আগাছা দমন সহ শুষ্ক মৌসুমে আদ্রতা সংরক্ষিত হয়। সেচঃভালো ফলের জন্য শুষ্ক মৌসুমে বা খরার সময় নিয়মিত সেচ দেয়া একান্ত দরকার। বর্ষার সময় গাছের গোঁড়ায় যেন জল না জমে, সে জন্য দ্রুত নিষ্কাশন ব্যাবস্থা করতে হবে। ডাল-পালা ছাঁটাইঃমাল্টা গাছের জন্য ডালা ছাঁটাই অপরিহার্য। গাছ লাগানোর পরে ফল ধরার পূর্ব পর্যন্ত ধীরে ধীরে ডালা ছেঁটে গাছকে নিদিষ্ট আকার দিতে হবে, যাতে গাছ উচু না হয়ে চারদিকে ছড়াতে পারে। কারন পার্শ্ব ডালে ফল বেশী ধরে। কাণ্ডের এক মিটার উচ্চতার সকল ডাল ছাঁটাই করতে হবে। ডাল ছাঁটাইয়ের পরে কাঁটা অংশে ব্লাইটক্স এর প্রলেপ দিতে হবে। মরা, শুকনো, রোগাক্রান্ত ডালা ছেঁটে ফেলতে হবে। ফল পাতলাকরণ ও ব্যাগিংমাল্টা গাছে থোকা থোকা ফল ধরে। সমস্ত ফল রাখা হলে ফল ছোট ও নিন্ম মানের হয়। এজন্য প্রতি পুস্প মঞ্জুরিতে সুস্থ্য ও সবল দেখে দুটি ফল রেখে, বাকীগুলো ছোট (মার্বেল আকৃতি) থাকা অবস্থায় ছাঁটাই করে দিতে হবে। কলমের গাছ প্রথম বা দ্বিতীয় বসর থেকে ফল দেয়া শুরু করে। গাছের ভালো বৃদ্ধির জন্য প্রথম ২ বসর ফল না রাখাই ভালো। ফলের আকৃতি সবুজ হওয়ায় পাখি বা পোকার আক্রমণ কম হয়। তবে পরিপক্কতার পূর্বে ব্যাগিং করলে অবাঞ্ছিত পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ফলন ও ফল সংগ্রহঃফলের পরিপক্কতার সাথে সাথে ফলের গাড় সবুজ বর্ণ, হালকা সবুজ বর্ণে বা ফ্যাঁকাসে সবুজ হতে থাকে। মাল্টা, সেপ্টেম্বর- অক্টোবর মাসে আহরন করা যায়। গাছ প্রতি ৩০০-৪০০ টি ফল ধরে। বিঘা প্রতি ফলন ২.৫ টন। ফল সংগ্রহের পর নষ্ট বা আঘাত প্রাপ্ত ফল আলাদা করতে হবে। ভালো মানের ফল গুলো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ঠাণ্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।

Read more

বজ্রপাত প্রতিরোধে তাল গাছ

অগ্নিভ হালদার, বিশ্বভারতী, শ্রীনিকেতন ## অতি প্রাচীনকাল থেকেই নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাবে মানব সভ্যতা তথা জীবজগৎ বিপন্ন হয়ে উঠেছে বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, শৈত্য এবং তাপপ্রবাহ এসবের  পাশাপাশি  অন্যতম প্রাকৃতিক বিপর্যয় হল বজ্রপাত যাহা ক্ষণস্থায়ী কিন্তু অপূরণীয় ক্ষতি করে দিতে সক্ষম আমাদের  দেশের গাঙ্গেয় সমভূমির তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি  এবং  জীবনহানির কারণ হলো এই বজ্রপাত । বিভিন্ন পরিবেশগত কারণে এর পরিমাণ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে । চলতি বছরে বজ্রপাতের ফলে ভারতবর্ষের ১০০ জনের  মৃত্যু ঘটেছে তার মধ্যে  ৮৩ জন বিহারের গাঙ্গেয় সমভূমির বাসিন্দা এবং বাংলাদেশের মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৫ জনের এরা বেশিরভাগই হলেন কৃষিজীবি মানুষ এবং কৃষিজমিতে কর্মরত অবস্থায় বজ্রপাতের ফলে  এই দুর্ঘটনা ঘটে । প্রচলিত আছে- বজ্রপাত হলে তা তালগাছ বা অন্য কোনো বড় গাছের ওপর পড়ে আর বজ্রপাতের বিদ্যুৎরশ্মি গাছ হয়ে তা মাটিতে চলে যায়। এতে জনমানুষের তেমন ক্ষতি হয় না। থাইল্যান্ডে তালগাছ লাগিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ, বাংলাদেশেও এখন প্রচুর তাল গাছ লাগিয়ে,  একই ভাবে প্রাকৃতিক বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা  গড়ে  তোলার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য নানা প্রকল্প হাতে দিয়েছে সে দেশের সরকার। আর এ কারণেই গুরুত্বহীন তালগাছের গুরুত্বও বেড়ে গেছে। কারণ তালগাছ বজ্র নিরোধক  হিসেবে কাজ করে।

Read more

মিনিকিট চাল: বিপদের অপর নাম

অগ্নিভ হালদার, বিশ্বভারতী, শ্রীনিকেতন ## কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালী, তাই ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য আবার আধুনিক বাঙালী ভালোবাসে ধবধবে সাদা  তুলনামূলক সরু চালের ভাত খেতে দামের  দিক থেকে সাধ্যের মধ্যে তুলনামূলক সাদা  এবং সরু চালের কথা  বললেই  আমাদের মনে আসে মিনিকিট চালের কথা ।  চালের কেনাবেচার শীর্ষে থাকা নামটি হল মিনিকিট। কিন্তু এই নামে  আসলেই কোন ধানের জাত নেই । তাহলে ব্যাপারটা কি? আসুন এ ব্যাপারে একটু আলোকপাত করার চেষ্টা করা যাক। এই মিনিকেট চালের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে যে সাধারণ মোটা চালকে ইচ্ছামত পালিশ ও ছাঁটাই মাধ্যমে সাদা  ঝকঝকে ও চিকন রূপ দান করে মিনিকিট নামে বাজারে বিক্রি করা হয়। এক্ষেত্রে চালের 25 থেকে 30 শতাংশ পর্যন্ত ছাঁটাই করা হয়ে থাকে (অনুমোদিত 10 শতাংশ )।  মিনিকিট আসলে কি? মিনিকিট কথাটি এসেছে মিনিকেট ট্রায়াল থেকে। একটি ব্রিডিং লাইনকে নতুন উন্নত জাত হিসেবে  প্রস্তাব দেওয়ার  আগে তার সমকক্ষদের তুলনায় উন্নত প্রমান করতে একাধিক পরীক্ষার মুখোমুখি করা হয়। তার একটি হল মিনিকিট  ট্রায়াল। সহজ ভাষায় বললে, নতুন আবিষ্কৃত কৃষিজ বস্তু (পদ্ধতি,বীজ এবং প্রযুক্তি) যা ট্রায়ালের জন্য সামান্য  পরিমাণে

Read more

সহজ চাষ যোগ্য বিষ্ময়কর এবং বিষহীন মিষ্টতার উৎস স্টেভিয়া

অগ্নিভ হালদার, বিশ্বভারতী, শ্রীনিকেতন ## মিষ্টি আমাদের অনেকেরই প্রিয় খাদ্য এবং মিষ্টির এই মিষ্টতার বহুল প্রচলিত উৎস হলো চিনি । কিন্তু এই চিনি ডায়াবেটিস সহ বহুবিধ মারণব্যাধির অন্যতম কারণ । এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এমন একটি উদ্ভিদ হল স্টেভিয়া ।এই স্টেভিয়া পৃথিবীর এক অত্যাশ্চর্য মিষ্টি গুল্ম জাতীয় ভেষজ গাছ। এ গাছ শত শত বছর ধরে প্যারাগুয়ের পাহাড়ি অঞ্চল রিওমন্ডে এলাকায় ব্যবহৃত হতো। প্যারাগুয়ের গুরানী ইন্ডিয়ান নামক উপজাতীয়রা একে বলে কা-হি-হি অর্থাৎ মধু গাছ। আফ্রিকাতে এটি মধু পাতা বা চিনি পাতা নামে পরিচিত। এছাড়াও থাইল্যান্ডে মিষ্টি ঘাস ও জাপানে আমাহা সুটেবিয়া বলে অবিহিত করা হয় । স্টেভিয়ার পরিচিতিঃ অস্বাভাবিক মিষ্টি এবং ভেষজগুণ সম্পন্ন এই স্টেভিয়া গাছটির উদ্ভিদতাত্ত্বিক সংক্ষিপ্ত পরিচিতি হলো-এটি একটি বহু বর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। ইহা কম্পোজিট ফ্যামিলির অন্তর্ভুক্ত এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Stevia rebaudiana । স্টেভিয়া সর্বোচ্চ ৬০-৭০ সেন্টিমিটার উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। সবুজ রঙের পাতাগুলো কান্ডের সাথে বিপরীতমুখী বিন্যাসে থাকে এবং পাতার কিনারা খাঁজ কাটা ও বর্শাকৃতির। উদ্ভিদটি অনেকটাই এ্যাস্টার ফুল গাছের মতো। এর ফুল ছোট ও সাদা রঙের এবং কীটপতঙ্গ দ্বারা পরাগায়িত হয় । এর বীজ এন্ডোস্পারম যুক্ত ক্ষুদ্রাকৃতির । স্টেভিয়া চাষের ইতিহাস এবং বর্তমান পরিস্থিতিঃ স্টেভিয়ার আদি নিবাস প্যারাগুয়ে । ১৮৮৭ সালে সুইজারল্যান্ডের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ড. এম.এস বার্টনি স্টেভিয়াকে প্রথম বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেন।  । ১৯৬৪ সালে প্যারাগুয়েতেই প্রথম স্টেভিয়ার বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন দেশে বিশেষত ব্রাজিল, কলম্বিয়া, পেরু, চীন, কোরিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ইসরাইল, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড, মালেশিয়াসহ প্রভৃতি দেশে এটি ফসল হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু হয়। এশিয়াতে ৭০-এর দশকের প্রথম দিকে এই উদ্ভিদ পরিচিতি লাভ করে এবং তখন থেকে বাণিজ্যিক ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে এটিকে৷ জাপানে চাষাবাদ শুরু হয় ১৯৬৮ সালে। ভারতের রাজস্থান,মহারাষ্ট্র, কেরল এবং উড়িষ্যা রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রতিক কালে স্টেভিয়া সাফল্যের সাথে চাষ হচ্ছে । ২০১১ সালে ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্টেভিয়া ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে। এখন চীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্টেভিয়া উত্পাদনকারী দেশ৷ বিশ্বের ১০ শতাংশ স্টেভিয়া উত্পাদন করে দেশটি৷ স্টেভিয়ার গুণাগুণঃ  স্টেভিয়া গাছটির সবুজ পাতাই মূলত কার্যকরী মিষ্টি উপাদানের প্রধান উৎস । স্টেভিয়ার পাতা চিনি অপেক্ষা ৩০-৪০ গুন বেশি মিষ্টি । স্টেভিয়ার পাতায় ০.৩ % ডালকোসাইড, ০.৬ % রেবাওডিওসাইড সি, ৩.৮ % রেবাওডিওসাইড এ এবং ৯.১ % স্টেভিয়াসাইড থাকে । এই স্টেভিয়াসাইড নামক পদার্থটিই চিনি অপেক্ষা ৩০০ গুন বেশি মিষ্টি। স্টেভিয়ার উপকারী দিকঃ ব্রাজিলের অধ্যাপক সিলভিয়ো ক্লাউডিও দা কস্তা মনে করেন, স্টেভিয়া ভোজ্যপণ্যের বাজারে এক বিপ্লব আনতে পারে৷ তিনি বলেন, “আমি গ্লাইকোসাইড, বিশেষ করে রেবাউডিয়োসাইড এর বিস্ময়কর গুণাগুণের কথা জানি৷ ২৫ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি আমি৷ এটি একটি প্রাকৃতিক পদার্থ, যাতে ক্যালরি নেই, দন্তরোগের ঝুঁকিও কম৷” Ø ক্যালরিমুক্ত এই মিষ্টি, ডায়াবেটিক রোগী সেবন করলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ পরিবর্তন হয় না, তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিনির সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক বিকল্প। Ø এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে, যকৃত, অগ্ন্যাশয় ও প্লীহায় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। Ø স্টেভিওসাইড অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণে সহায়তা করে, ত্বকের ক্ষত নিরাময় ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে, খাদ্য হজমে সহায়তা করে, শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে, শরীরের সুস্থতা ও সতেজতাবোধ সৃষ্টি করে। Ø এটি ব্যাকটেরিয়া সাইডাল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে, স্কিন কেয়ার হিসাবে কাজ করে বিধায় ত্বকের কোমলতা এবং লাবণ্য বৃদ্ধি করে, স্বাদ বৃদ্ধিকারক হিসাবে কাজ করে। স্টেভিয়ার ব্যবহার এবং বিতর্কঃ বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ কোটি মানুষ স্টেভিয়া ও এর নির্যাস কাজে লাগায়, মিষ্টি জাতীয় খাবারে চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়, বিভিন্ন সময় চিনি রফতানিকারক দেশসমূহ ও সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো স্টেভিয়াতে বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে বলে প্রচারণা করলেও সাম্প্রতিক সময়ে USFDA (United

Read more

ফেরোমন ফাঁদ একটি সাশ্রয়ী, কার্যকর ও বিশ্বস্ত জৈব দমন ব্যবস্থা

অগ্নিভ হালদার ## প্রাকৃতিক দূর্যোগ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকার আক্রমণে ফসল উৎপাদন ব্যহত হয়। এই উপদ্রব থেকে মুক্তি

Read more