অনবদ্য বঙ্গ

সা’দ বিন রেদওয়ান, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর, বাংলাদেশ

রুপসী বাংলা করেছে পাগল

দিয়ে যে আমায় শোভার আঁচল,

কেড়েছে মনের গহীন অতল

বেঁধেছে বাঁধন প্রেমের কমল।

শোভাময় স্রোত সদা নিয়ে চলে

দীর্ঘায়ু শুধু মহীরুহ বলে,

রং ছড়ালে যে উচ্ছাসে দোলে

করেছে ধারন বঙ্গের কোলে।

দিয়ে যে অজস্র রম্যের মেলা

মৃদু বন্টনে ফুরায়ে যে বেলা,

গোধূলীর ক্ষনে ধরা করে খেলা

রুপ ভূন্ঞ্জিতে নাহি করে হেলা।

প্রকৃতি মাঝে শোভা হিল্লোল

পাথারেতে সদা জলে কল্লোল,

গগনের ঐ আলোক নৃপাল

ভরে দেয় পৃথ্বী নব নির্মল।

দক্ষিনার ঐ শান্ত অনিল

অম্বর পানে উড়া গাঙচিল,

ঝুলন্ত রুপের পুষার উজ্জ্বল

সবই যেন এক ললিত কজ্জল। 

কাননের ঐ সুচারু মুকুল

যাহা রুপ তেজে মনুজ ব্যকুল,

তৃনলতার ঐ অধিক কোমল

দৃষ্টিতে চায় দেখিতে বদল।

নিদারুনতার মূল সুরে চলা

নানা মাধূর্যে ভরা নদী নালা,

গড়িয়ে যায় যে তার কোলে জল

করে সেথা তব জল কলকল।

বয়ে যায় তাহা নিরুপম ছলে

এঁটে দেয় প্রীতি প্রাকৃতির আলে,

তার থেকে ছুটে সরু সরু খাল

মাঝে দিয়ে তরী চরে তুলে পাল।

দু-পাশে তাহার সবুজ শ্যমলে

গড়ে উঠা ঐ বন জঙ্গলে,

সুরম্য মাখা ছায়া নির্মলে

দেখিবার লাগি ধীর চঞ্চলে। 

প্রভাতের ঐ পাখিদের দল

দু ডানার ভরে থাকে যে অটল,

কিচির মিচিরে মাখে ঐ কূল

মতোয়ারা তরে ধ্বনির অতুল।

বিমুগ্ধতার ময়ুখ রুপালী।

নানা রুপমান লগ্নে গোধূলী,

অংশুমালীর মৃদুময়ী আলো

ভেঙ্গে পড়া মন গড়ে তোলে ভালো।

প্রান্তরের ঐ ঘাস নির্মলে

যদি যাই ঘুমে মস্তক ফেলে,

ভাঙ্গিবেনা ঘুম শান্তির আলে

লক্ষ বছরও তব কেটে গেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − eleven =

preload imagepreload image