হাঁড়িয়া
 শ্রী কান্ত মাহাত, সাত্রা, পুরুলিয়া ## 
 
 বৈশাখ জৈষ্ঠের ধূপের দিনে
 বুধনি মাঝান বসে থাকে ইষ্টিশনে।
 
 ” হাঁড়িয়া  নিবি গো  হাঁড়িয়া”
 হাঁড়িয়া ভরে  ঢাকায় রাখে  খুব যতনে।
 যারা হাঁড়িয়ার মরম বুঝে।
 তারাই বুধনির ডেরা খুঁজে।
 এক দু গ্লাস খালে থকিত ফেদান
 সভেই বুঝি যায় চলে।
 হে বুধনি ইটা কেমন করে
 বানাই তুই বলবি আমাকে।
 টুকু জানতে ইচ্ছা করে।
 শুনবি বাবু।   ইটা আমাদের ডাকপুরুষলে 
 চলে আসছে।    বনের শিকড় বাকড়
 বাঁটে থাকি। যাকে আমরা বাখর বলি।
 তাতে চালের গুঁড়ি মিশিয়ে
 ছোট ছোট বড়ি বানায়।আর
 শুখায় রাখি কুলুঙ্গাতে  ।লোকে বলে
 রানু।পরব তিহার আইলে 
 হাঁড়িয়া বানায় ঘরে ঘরে।কুটুমের
 মান জুগাবার নিয়ে।হড় মিতান
 আলে    হাঁড়িয়া খাওয়া ই।আরো
 খাওয়াই পিঠালাঠা। তবে
 মাংসের চাপড়া দারুন লাগে।
 বিহা শাধি হলে বলে কে?
 হাঁড়িয়া ছাড়া চলে কে?
 নতুন বছর হলে  পহিলে বধাই
 সাত পিড়হির বুড়হা বুড়হি গিলাকে।
 তাপর আমরা খায়।ছাতা করম
 সোহরায় সারহুল।   হাঁড়িয়া বিনা ব্যায়াকুল।
 দশাই নাচে পাতা নাচে।উগুলা নিয়েই
 বুধনি মাঝি মাঝান বেঁচে থাকে।বারোমাসে
 ক্ষেতে গোঠে  হাটে বাজারে।বুধনি
 এখনও তুই বলে শেষ করিস নাই
 কি করে বানালি? তবে টুকু সবুর কর।
 বলছি আমি  খেজুর পাতার চাটাই করে
 সিঝাভাত আর রানু মিশিয়ে নিয়ে
 হাঁড়ির ভিতর রাখি   পাঁচ লে সাত দিন।
 যখন বুদ বুদ করে ফুটবেক হাঁড়ি।
 তখন বুঝতে পারবি হল হাঁড়িয়া।
 থিনাই থাকা জল ই হল রশি।
 ইটা খেলে খুব মাতায় যাবি।পরে
 বাঁশের ছাকনায় ছেকে নিয়ে 
 পঁচাভাত গাঁজে নিয়ে ছাঁকে দিব।
 তখন তুই হাঁড়িয়া পাবি  
 “হাঁড়িয়া গো বাবু হাঁড়িয়া।”      

