আবর্জনার শহর

চারিদিকে খালি আবর্জনার স্তুপ। গোটা শহরটি আসলে আবর্জনা দিয়ে ঢাকা। ইজিপ্টের মনসিয়াত নাসের শহরে এলে মনে হবে আবর্জনার কোনও শহরে এসেছেন বুঝি। এর কারণ হল এর নিকটবর্তী প্রতিবেশী ইজিপ্টের রাজধানী কায়রো যার কোন আবর্জনা ফেলার সিস্টেম নেই। তাই পাশের এই শহরের সকল ব্যক্তি আবর্জনা সংগ্রাহক। তারাই কায়রোর আবর্জনা নিয়ে এসে প্রাথমিক ভাবে জমা করেন নিজেদের শহরে।

 কায়রোর মানুষজনের তরফ থেকে এদের নাম দেওয়া হয়েছে “জাব্বালিন”(Zabbaleen) অর্থাত্‍ আবর্জনা মানুষ (garbage people in arabic)। শুনতে যথেষ্ট আশ্চর্যজনক হলেও ২০০৩ সালে যখন কায়রোর পুর প্রশাসন একটি বেসরকারী সংস্থাকে আবর্জনা সরাবার জন্য ভাড়া করেছিল, তখন এই শহরের লোকজন নিজেদেরকে একটি প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল যে কে সবথেকে বেশি আবর্জনা সংগ্রহ করতে পারে। তারই ফল স্বরূপ এটি এখন আবর্জনা শহরের তকমা পেয়েছে।

অথচ এই শহরের কৃষ্টি সংস্কৃতি বেশ পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী। প্রায় ষাট হাজার মানুশের বাস এই শহরে। এখানে মূলত খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। এখন অবশ্য মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এখানে রয়েছে একটি গুহা গির্জা। সেন্ট সাম্মানস্‌ চার্চ নামে পরিচিত এই গির্জাটি মধ্য প্রাচ্যের সব চাইতে বড় গির্জা। প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এখানে বসে প্রার্থনা করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 4 =