উপকারী কুল

ফল হিসেবে তেমন মর্যাদা না পেলেও টক-মিষ্টি স্বাদের কুল কিন্তু কম-বেশি সকলেরই খুব প্রিয়। ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফলটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারি। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি স্নায়ু এবং হাড়ের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উপকারী। কুল মেলেও খুব সহজেই, দামও মোটেই বেশি নয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কুলের উপকারিতা। –

ত্বককে উজ্জ্বল করে

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কুল, বার্ধক্যের লক্ষণগুলো দূর করতে সহায়তা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি ব়্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে এবং কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া ভিটামিন সি ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও ব্রণ মুক্ত রাখে, পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

কুল ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। এই ফল শক্তির বড় উৎস, যা মেটাবলিজম বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। এগুলো হজম করা অত্যন্ত সহজ, কারণ এতে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও সহায়তা করে। তা ছাড়া কুল দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা থেকেও স্বস্তি দিতে সক্ষম।

হাড়কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে

শুকনো কুল ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের দুর্দান্ত উৎস, যা হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি আর্থ্রাইটিসের রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারি। কুলে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা জয়েন্টের ফোলাভাব এবং যন্ত্রণা কমাতে সহায়তা করে।

রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে

কুল পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ। এই খনিজগুলো হার্ট ভালো রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তা ছাড়া আয়রন হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা বাড়াতেও সহায়তা করে, যা রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করতে সহায়ক। এতে থাকা খনিজগুলো শরীরের রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে

প্রাচীন চীনা ঐতিহ্য অনুসারে, কুল অনিদ্রার সমস্যা নিরাময় করতে সহায়তা করে। বীজ সহ পুরো ফলটাই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইটোকেমিক্যাল, পলিস্যাকারাইড, ফ্ল্যাভোনয়েড, স্যাপোনিন সমৃদ্ধ। যার মধ্যে উপশমকারী গুণ বর্তমান। এটি স্নায়ুকে শান্ত করে, মন ও শরীরকে শিথিল করে এবং ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

কুলে লবণের পরিমাণ কম এবং পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি। ফলের এই দুটি গুণই রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। পটাসিয়াম রক্তনালীকে শিথিল রাখতে সহায়ক। আর রক্তনালী শিথিল হলে রক্ত​​প্রবাহ স্মুথলি হয়।

উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে

কুল মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সহায়তা করে। তা ছাড়া এটি উদ্বেগ কমাতেও অত্যন্ত সহায়ক। এ ছাড়া কুল হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে এবং মন ও শরীরকে শান্ত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =