ক্ষুদ্রতম দেশ!

 

“প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড!” বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ। তাজ্জব হলেও এই রাষ্ট্রের জনসংখ্যা মাত্র তিনজন। বিশ্বের ছোট এ দেশটির নাম প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড। ব্রিটেনের সাফল্ক সমুদ্রের ধারে দেশটির অবস্থান। এই তথাকথিত ক্ষুদ্রতম দেশটির মোট আয়তন ৫৫০ বর্গমিটার। ইংল্যান্ডের উত্তর সাগরে এই রাষ্ট্রটির অবস্থান। দেশটির একটি রাজধানীও রয়েছে। দেশটির রাজধানীর নাম HM Fort Roughs। এই দেশটি সাগরের উপর ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। মাটি থেকে অনেকটা উপরে দুটো বড় বড় ইস্পাতের পাইপের উপর এই দেশটির অবস্থান। এই দেশটিতে কোনো মাটি নেই। পুরোটাই ইস্পাত। এই দেশটিতে যেতে হলে ইংল্যান্ডের উত্তর উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার সাগরের গভীরে যেতে হবে।

দেশটিতে একটিমাত্র ঘর চোখে পড়বে এবং সেটিই এই দেশের রাজপ্রাসাদ। রাজপ্রাসাদের উপর দেশটির পতাকা উড়তে দেখা যাবে। বিশ্বের সব থেকে ক্ষুদ্রতম স্বাধীন সার্বভৌম দেশটিতেও নিজস্ব পতাকা, পাসপোর্ট, মুদ্রা সবই রয়েছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, এই দেশে জনসংখ্যা রয়েছে মাত্র তিন জন। এই জনসংখ্যার তিনজনই বেটস পরিবারের সদস্য। যারা যথাক্রমে এই রাজ্যের রাজা, রানি এবং রাজপুত্র। ছোট্ট এই দেশটির এইচ এম ফোর্ট রাফস নামে একটি রাজধানীও আছে। এ দেশের ভাষা প্রচলিত ইংরেজি এবং মুদ্রার নাম সিল্যান্ড ডলার। আর এই মুদ্রা অন্য কোনো দেশে চলে না।

মূলত এই দেশটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর। যে কোনও সময় জার্মান সেনারা ইংল্যান্ড আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ইংল্যান্ডের উপকূলে দুর্গ বানানোর পরিকল্পনা করে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। আর সে পরিকল্পনা থেকেই উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে বানানো হয় মাউনসেল সি ফোর্ট। এখান থেকে শত্রুদের রণতরীর উপর নজরদারি চালানো হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে অন্যান্য অসংখ্য দুর্গের সঙ্গে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এটিকেও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। ১৯৬৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর এই দ্বীপের স্বত্বাধিকারী হন ব্রিটিশ নাগরিক মেজর প্যাডজ রয় বেটস ও তার পরিবার। এরপর থেকে তারা এটিকে একটি স্বাধীন অনু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন। পৃথিবীর কোনও দেশ এখনও সিল্যান্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়নি। তবে কেউ তাদের বিরোধিতাও করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − nine =