গুণে ভরা কালো জাম

গ্রীস্মের ফলের বাজারে আম কাঠাল লিচুই অনেকটা দখল করে রাখে।  সেই সময় কালো জামে খুব একটা চোখ যায় না কারও। তবে এই ফলের খাদ্যগুণ কিন্তু অনেক দামী ফলকেও হার মানায়। জুন-জুলাই-অগস্ট, এই তিন মাস চুটিয়ে খেতে পারবেন কালো জাম। এক ঝলকে দেখে নিন কী কী উপকারিতা রয়েছে এই ফলের।

-কালো জামে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। ক্যালোরিও অত্যন্ত কম।

-জামে গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা মানুষকে যোগায় কাজ করার শক্তি।

-যারা রক্তাল্পতায় ভোগেন, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। ইমিউনিটি বৃদ্ধি এবং অ্যান্টি এজিংয়ের কাছে লাগে এই ফল।

-এই ফলে জলের পরিমাণও অনেক। হজমশক্তি বৃদ্ধি ও পেটে ব্যথার উপশম হিসেবে দারুণ কাজে আসে এই ফল।

-ডায়াবেটিস রোগীরাও এই ফল খেতে পারেন। ব্লাড সুগার লেভেল কম রাখতেও সাহায্য করে কালো জাম।

-জাম রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিণ্ড ভালো রাখে। এছাড়া শরীরের দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।

-পুষ্টিবিদদের মতে, জামে সেই সব উপাদান আছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

-মানুষের মুখের লালার মধ্যে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ উৎপাদিত হয়, যা হতে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম নেয়। এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া হতে মুখে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর জাম মুখের ভেতর উৎপাদিত ক্যান্সারের সহায়ক ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

-টপাটপ মুখে দিয়ে খেতে ভালো না লাগলে, একটু অন্য ভাবেও ট্রাই করতে পারেন কালো জাম। স্বাদ বদলাতে খেতে পারেন কালো জামের চাট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 8 =