নতুন ড্রোন কিনছে ভারত

এবার আমেরিকা থেকে ৩০টি MQ-9B ড্রোন কিনছে ভারত। বিশেষজ্ঞদের ধারনা এর ফলে সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তান বা চীনের ছোট থেকে বড় সব পদক্ষেপের ওপরই নজর রাখতে পারবে তারা। প্রাথমিকভাবে ৬টি ড্রোন আসবে। পরে আসবে বাকি ২৪টি ড্রোন, যা আগামী ৩ বছর ধরে ধাপে ধাপে মিলবে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এসব ড্রোনে?

১. ড্রোন বানানো কোম্পানি জেনারেল অ্যাটোমিক্সের দাবি এই ড্রোন একবারে ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে।

২. MQ-9 রিপার ড্রোন সবচেয়ে বেশি ৪৪৪.৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় উড়তে পারে। এটা ৫০ হাজার ফিট উচু পর্যন্ত উড়তে পারে।

৩. MQ-9 একসঙ্গে ১২টি মুভিং টার্গেটকে ট্র্যাক করতে পারে। এটা একটা মিসাইল ছাড়ার ০.৩২ সেকেন্ডের মধ্যে দ্বিতীয় মিসাইল ছাড়তে পারে।

৪. এই ড্রোন মোট ১ হাজার ৭৪৬ কিলো ওজন বহন করতে পারে।

৫. এই ড্রোনে ফল্ট টলারেট ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম আর ট্রিপল রিডন্টেন্ট অ্যাবিয়োনিক্স সিস্টেমে কাজ করে।
৬. এটা মডিউলার ড্রোন। এতে সহজেই পেলোডস কনফিগার করা যায়। এটা রিয়েল টাইমে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে ডেটা পাঠাতে পারে।

৭. এটি ইলেক্ট্রো অপ্টিক্যাল ইনফ্রারেড (EO/IR), সার্ভিউল্যান্স র‍্যাডার, মাল্টিমোড মেরিটাইম সার্ভিলান্স র‍্যাডার, ইলেকট্রনিক্স সাপোর্ট মেজর্স এর মত বিষয়ে সক্ষম। এটা লেজার বোম পরিবহন করতেও সক্ষম।

ইসরায়েলের হেরন ড্রোন ও স্পাইক অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইলকে আপগ্রেড করার কাজও চলছে। আপতকালীন পরিস্থিতির জন্য বরাদ্দ থেকে এই এসব যুদ্ধাস্ত্র কেনা হচ্ছে৷ হেরন ড্রোন লাগাতার ২ দিনের বেশি উড়তে সক্ষম। এই ড্রোন ১০ হাজার মিটার উঁচুতে উড়তে সক্ষম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − ten =