ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যবহারে সাবধান

অনেক সময় আমরা বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং পাবলিক প্লেসে ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যবহার করি। কিন্তু বিনা পয়সার এই ওয়াই-ফাই কতটা নিরাপদ আপনি কখনও ভেবে দেখেছেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই ব্যবহারের আগে একবার ভেবে দেখা উচিত। কারণ, সামান্য অসাবধানতায় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সাইবার অপরাধীদের কাছে পাচার হয়ে যেতে পারে। সাধারণত তরুণেরাই এ ধরনের সমস্যায় পড়ে। তাই ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য কয়েকটা টিপস তুলে ধরা হল-

১. সব সময় সতর্ক থাকুন:

সকলের জন্যে ফ্রি তে ওয়াই-ফাই সাধারণত নিরাপদ হয় না। হ্যাকার চাইলে এই নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদানের সময় আপনার তথ্য চুরি করে নিতে পারে। ধরুন, কোনো পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার সময় একই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে, এমন তৃতীয় কোনো ইউজারের কাছে ডেটা চলে যেতে পারে। তাই খুব প্রয়োজন না হলে ওপেন ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

২. ফোনের অপারেটিং সিস্টেম সবসময় আপডেট রাখুন:

সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট আছে তো? আপডেট অপারেটিং সিস্টেম শুধু আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা আইফোনের নতুন ফিচারের জন্যই নয়। আপডেট অপারেটিং সিস্টেমে স্মার্টফোন থেকে তথ্য চুরি হওয়া ঠেকাতে বিশেষ সিকিউরিটি দেওয়া থাকে। যখনই ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট আসবে, তা ইনস্টল করে নেবেন। এটা শুধুমাত্র ফ্রি তে ওয়াই-ফাই ব্যবহারের জন্য নয়, বরং স্মার্টফোন নিরাপদ রাখতে আপডেট রাখা জরুরি।

৩. ফোনের সিকিউরিটি সফটওয়্যার অবশ্যই জরুরি:

যাঁদের প্রায় সময় পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে, তাঁদের স্মার্টফোনে অবশ্যই উপযুক্ত সিকিউরিটি সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ইউজারদের ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সিকিউরিটি সফটওয়্যার থাকলে ম্যালওয়্যার স্ক্যান ও তা দূর করা যায়।

৪. স্লো ওয়াই-ফাই কানেকশান থাকলে বিপদ বেশি:

ওপেন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে ঢোকার পর যদি স্পীড খুব স্লো হয়, তবে সেখানে সমস্যা থাকতে পারে। অনেক সময় সাইন-ইন পেজে গিয়ে স্লো ওয়াই-ফাই কানেকশানের জন্যে লগ ইন আটকে যেতে পারে। রাউটারে কোনো করসাজি করা হয়ে থাকতে পারে। অনেক সময় রাউটারে সরাসরি সংযোগের পরিবর্তে অন্য কোনো ডিভাইস ঘুরে রাউটারে যাওয়ার ঘটনা হতে পারে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে সব ধরনের সাইবার অপরাধীদের সুযোগ তৈরি হয়। তথ্য চুরি করতে ব্রাউজিং হিস্ট্রি ছাড়াও ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিতে পারে অপরাধীরা।

৫. ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ে অনলাইন শপিং বা ব্যাংকিং করবেন না:

পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা কিংবা ব্যাংকিং লেনদেন নিরাপদ নয়। মোবাইল ইন্টারনেট এক্ষেত্রে নিরাপদ।

৬. দরকার না হলে ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখুন:

দরকারি কাজ হওয়ামাত্রই ওপেন ওয়াই-ফাই ব্যবহার বন্ধ করে দিন। যেসব পরিষেবা ব্যবহার করেছেন, সেগুলোতে সাইন-ইন করা থাকলে সাইন আউট করবেন। দ্রুত ওয়াই-ফাই বন্ধ করলে স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার আসবে না।

৭. ভিপিএন ব্যবহার করুন:

ভিপিএন ছাড়া পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করবেন না। এতে অনেক ঝুঁকি কমে। অনেক ভিপিএন মোবাইল অ্যাপস পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 4 =