বাউল

অমিতাভ দাস, হাওড়া  ##

বুকের ভেতরে বৃষ্টির গান

জমা জলে খেলে কত অভিমান

চুল্লীর মুখ থেকে ফিরে আসে ক্ষয়িষ্ণু দিন

একসাথে সব কালো ধুয়ে গিয়ে

গোলাপী গোধূলি আলো বুকে নিয়ে

শোধ করে যাব জীবনের কাছে ফেলে রাখা ঋণ।

যদিও প্রাণেরা আকাশের মতো

সরে সরে যায় ছুঁতে চাই যত

নদী ভেবে জল আঁজলায় তুলে দেখি মরীচিকা

স্তব্ধতা ঢাকা মায়ের আঁচলে 

নিথর আঁতুড় ঘরের দেয়ালে

ঝরে পড়া মেঘ আঁক কেটে যায় বসে বসে একা।

সাদা পাতা জুড়ে মৃত্যুর ছিটে

শ্বাস রোধ হয় মুখোশের গিঁটে

সাদা আর কালো লড়ে যায় রোজ মানুষের হার

বিমর্ষ রোদ গড়িয়েছে গায়ে

বাড়ি ফেরে স্মৃতি লেগে পায়ে পায়ে

কথা ছিল হাত রেখে হাতে হয়ে যাব পার।

দাবদাহ শেষে শান্তির ধারা

ছাতি ভরে পান করেছিল যারা

শহীদবেদীতে ভুলে যাওয়া কিছু অকালপ্রয়ান

ক্ষয়ে ক্ষয়ে গিয়ে ঝুরঝুরে বালি

ভরাট সময় ফাঁকা ফাঁকা খালি

তবু ভুল করে একতারা ছুঁয়ে আলোমাখা গান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × four =