হাল ছেড়ো না বন্ধু

রেল টিকিট ফেরত দেয়ার সময় বাড়তি মাসুল হিসেবে কেটে নিয়েছিল ৩৫ টাকা। সেই অনাচার সহ্য হয়নি সুজিত স্বামীর। প্রাপ্য টাকা ফেরত পেতে দুই বছর আইনি লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। রেলের বিরুদ্ধে মামলা লড়ে অবশেষে ৩৩ টাকা ফেরত পেয়েছেন। কিন্তু এর পরেও দুই টাকা কেটে রাখায় ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফের আদালতে যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন দিয়েছেন রাজস্থানপ্রদেশের কোটা শহরের ওই যুবক।

২০১৭ সালে দিল্লি যাওয়ার জন্য সুজিত টিকিট কেটেছিলেন গোল্ডেন টেম্পল মেইল এর। অনিবার্য কারণবশত তার যাত্রা বাতিল করতে হয়। ৭৬৫ টাকা দিয়ে কাটা টিকিটে তিনি ফেরত পান ৬৬৫ টাকা। অর্থাৎ ১০০ টাকা মাসুল গুনতে হয়। নিয়ামানুযায়ী ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিট হিসেবে তার মাসুল দেয়ার কথা ছিল ৬৫ টাকা। কিন্তু ৩৫ টাকা বেশি কাটে রেল কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে সুজিত ভারতীয় রেলের বিরুদ্ধে তথ্য অধিকার আইনে মামলা করেন। পরিপ্রেক্ষিতে রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, অতিরিক্ত ৩৫ টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে কেটে রাখা হয়েছে।

সুজিতের দাবি, তিনি ২ জুলাইয়ের টিকিট কেটেছেন এপ্রিল মাসে, বাতিলও করেছেন কদিনের মধ্যেই। আর ১ জুলাই থেকে সার্ভিস চার্জ চালু হয় ভারতীয় রেলে। দুই বছর আইনি লড়াইয়ের পর জয়ী হন সুজিত। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু নিয়ম কার্যকর হবার আগেই সুজিত টিকিট বাতিল করেছেন, সে হেতু তার ৩৫ টাকা  ফেরত পাওয়া উচিত। গত ১ মে সুজিতের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেল কর্তৃপক্ষের পাঠানো অর্থ জমা হয়। সেখানেও গোল বাধে। সুজিত ৩৫ টাকা ফেরত পাওয়ার কথা। ফিরে পেয়েছেন ৩৩ টাকা ।

এতে বেজায় চটেছেন সুজিত। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুই বছর ধরে এই হয়রানির জন্য ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো ২ টাকা কেটে রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে ফের আইনি লড়াইয়ে নামবেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + 1 =

preload imagepreload image