দাড়ি রাখার উপকারিতা

আমাদের দেশে ধারণা যে দাড়ি রাখা বয়স্কদের কাজ। কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে যাচ্ছে। তরুণদের মধ্যে অনেকেই এখন দাড়ি রাখছেন। এই দাড়িরও রয়েছে নানা রকম স্টাইল। তবে স্টাইল বাদেও দাড়ি রাখার রয়েছে অনেক উপকারিতা।

বিশেষত আলট্রাভায়োলেট রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব যাতে ত্বকের উপর সরাসরি না পরে, সেদিকে খেয়াল রাখে দাড়ি। ফলে কোনো ধরনের ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

(এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষেরা তাদের সারা জীবনে গড়ে ৩৩৫০ ঘণ্টা সময় দাড়ি কাটার পিছনে ব্যয় করেন। যার অর্থ সারা জীবনে প্রায় ১৩৯ দিন এইভাবেই নষ্ট করে ফেলেন দাড়ি না রাখা পুরুষেরা। কিন্তু যদি দাড়ি রাখা শুরু করা যায়, তাহলে এই দিনগুলি তারা পছন্দের কোনো কাজে লাগাতে পারেন।

() একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দাড়ি রাখলে পরিবেশে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ারা মুখ হয়ে শরীরের ভেতরে পৌঁছতে পারে না। ফলে গলার কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি আরও নানাবিধ রোগও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

(তাপমাত্রা যখন কমতে থাকে, তখন শরীরকে গরম রাখতে দাড়ি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক কেস স্টাডি করে বিজ্ঞানীদের মনে আর কোনো সন্দেহ নেই যে, শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে বিয়ার্ড বাস্তবিকই সাহায্য করে। তাই খেয়াল করে দেখবেন ক্লিন শেভ থাকেন যারা তাদের তুলনায় দাড়িওয়ালারা কম রোগে ভুগে থাকেন।

(সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দাড়ি থাকলে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের সেভাবে ক্ষতি করতে পারে না, যতটা ক্লিন শেভ থাকলে করে থাকে। আর একথার নিশ্চয় সবাই জানেন যে ‘ইউ ভি’ রশ্মির সংস্পর্শ থেকে ত্বক যত দূরে থাকবে, তত ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে।

() ত্বক বিশেষজ্ঞরা লক্ষ করে দেখেছেন, দাড়ি থাকলে ত্বকের আর্দ্রতা সহজে হারায় না। কারণ এক্ষেত্রে দাড়ি অনেকটা রক্ষাকবচের কাজ করে থাকে। ফলে সহজে স্কিন ড্রাই হয়ে যায় না। তাই তো যারা সারা বছরই কম-বেশি ড্রাই স্কিনের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা দাড়ি রাখার কথা ভাবতেই পারেন।

() পরিবেশে উপস্থিত ডাস্ট পার্টিকেলস যাতে নাকের মাধ্যমে শরীরের অন্দরে প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে দাড়ি। আসলে দাড়ি হল একটা প্রতিরোধ ব্যবস্থা যাকে ভেদ করে ধুলো-বালির পক্ষে শরীরে প্রবেশ করা সম্ভব হয় না।

() অনেকেই মনে করেন দাড়ি রাখলে দেখতে বুড়ো লাগে। এই ধরণা কিন্তু একেবারে ভুল। বরং একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। আলট্রাভায়োলেট রশ্মির আঘাত কম লাগার কারণে যাদের দাড়ি রয়েছে, তাদের ত্বকের ক্ষয় কম হয়। ফলে কম বয়সীদের মতো দেখতে লাগে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + four =