বিয়েতে যৌতুক গাছের চারা!
বিয়েতে যৌতুক ১০০১টি ফল গাছের চারা। ঘটনা ওডিশার একটি অখ্যাত জায়গার। কিন্তু এই ঘটনা এখন আলোচনায় নিয়ে এসেছে চৌডাকুলাটা গ্রামকে।
কেন্দ্রাপাড়া জেলার চৌডাকুলাটা গ্রামের জগন্নাথ বিদ্যাপিঠের শিক্ষক সরোজকান্ত বিসওয়াল যখন নিজের বিয়ের কথাবার্তা পাকা করতে মেয়ের বাড়ি যান, তখন পণের দেওয়ার দাবি শুনে হতবাক হয়েছিলেন হবু বর। রশমিরেখা পৈতালের বাবা কিছুতেই রাজি ছিলেন না পণ ছাড়া মেয়ের বিয়ে দিতে। কিন্তু নিজের নীতিবোধের সঙ্গে আপোস করতেও রাজি ছিলেন না হবু বর সরোজকান্ত। অতএব মীমাংসায় আসতে যৌতুক হিসেবে তিনি চেয়ে নিলেন ১০০১টি ফল গাছের চারা।
বহু বছর ধরে সবুজায়নের জন্য লড়াই চালাচ্ছেন বিসওয়াল। তার অনুরোধ মেনে ২১ জুন, অর্থাৎ বিয়ের একদিন আগেই হবু জামাইয়ের বাড়িতে পৌঁছে যায় ১০০১টি চারা গাছ। গাছের চারাগুলো তিনি বিলিয়ে দেন তার গ্রাম বলভদ্রপুরের মানুষদের মধ্যে। শ্বশুরবাড়ির গ্রামেও চারা গাছ বিতরণ করেছেন সরোজকান্ত। এখানেই শেষ নয়। তার বিয়ের জন্য যাতে শব্দ দূষণ না হয়, তাই কোনও বাজি ফাটানো হয়নি বিয়েতে। বাতিল ছিল উচ্চস্বরে ডিজে বাজানোর আয়োজনও।
বিসওয়াল জানিয়েছেন, চিরকালই তার স্বপ্ন ছিল বিয়েতে সব আয়োজন যাতে পরিবেশবান্ধব হয়। তাছাড়া নিজে ‘গাছ তি পাই সাথি তিয়ে’ সংগঠনের সদস্য হয়ে তিনি অন্য কোনও কিছু যৌতুকে নেওয়ার কথা ভাবতেও পারেননি। বৌ-ভাতের দিনও তিনি গাছের চারা বিতরণ করেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়নি কোনও প্লাস্টিক বা পলিথিনের জিনিস।