শীতে ত্বকের যত্ন
শীতের সময় ত্বকের নানাবিধ সমস্যা হয়ে থাকে। কারণ এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা থাকায় ত্বক একটু বেশিই শুষ্ক হয়ে পড়ে। আবার ঘর থেকে বাইরে বের হলেই ধুলোবালির ছড়াছড়ি। তাই সারা দিনের ক্লান্তি শেষে ঘরে ফিরে দরকার ত্বকের বিশেষ যত্ন। তা না হলে ত্বকে ব্রণ, ছোপ ছোপ কালো দাগ প্রভৃতি সমস্যা অনিবার্য।
তাই ত্বকের প্রতি বাড়তি নজর দিলে এই শীতেও আপনা ত্বক থাকবে মসৃণ-স্বাস্থ্যজ্জ্বল। সঙ্গে রঙ্গিন শাক, সবজি, ফল এবং জল খাওয়ার অভ্যাসটা ধরে রাখতে হবে এ শীতেও।
শীতের সময় কি করবেন…
ত্বকের যত্মে ময়েশ্চারাইজ:
শীতে ত্বকের যত্নের শুরুতে একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডো সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন। এগুলো ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যতবার ত্বক শুষ্ক মনে হবে ততবার ব্যবহার করুন। শীত আসছে বলে ভাববেন না যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীতা কমে গেছে। শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
সঠিক আর্দ্রতা:
শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় মাঝে মাঝে মুখে জলের ঝাপটা দিন। সহজে ত্বক শুষ্ক হবে না। অতিরিক্ত গরম জল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন স্নানের সময় আরাম অনুভূত হলেও অতিরিক্ত গরম জল দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অতিরিক্ত গরম জল মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। স্নানের সময় জলে কয়েক ফোঁটা জোজোবা বা বাদাম তেল দিয়ে নিলে তা ত্বককে আর্দ্র এবং মসৃণ করতে সহায়তা করে।
ঠোঁটের পরিচর্যা:
কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে না। মেকআপ করার সময় লিক্যুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। শীতকালে ক্রিম ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন।
ভেজা ত্বকের পরিচর্যা:
স্নানের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
চুলের যত্ন:
শীতকালে কখনোই ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয় এবং চুল ভেঙে যায়। চুল এবং মাথার তালুর আর্দ্রতা ধরে রাখতে হ্যাট পরুন। তবে হ্যাটটি যাতে বেশি টাইট না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন। হাত এবং পায়ের আর্দ্রতা ধরে রাখতে যতবার প্রয়োজন ততবার লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।