স্থূলতা কমানোর সহজ উপায়

মোটা শব্দটির সঙ্গে আমরা কম-বেশি সবাই পরিচিত। কারণ এটি এখন বহুল আলোচিত একটি বিষয়। নাগরিক জীবনে কারো কারো ক্ষেত্রে স্থূলতা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওজনাধিক্যের জন্য বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমরা ওজনাধিক্য নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। কিন্তু দেখা যায় বিভিন্ন কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। আসলে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ব্যক্তির নিজস্ব ইচ্ছা এবং চেষ্টা। আসুন আমরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কয়েকটি টিপস জেনে নিই-

১. খাবারের সময় প্রিয় খাবার দেখে ভরপেট না খেয়ে আধপেট খান বা পেট খালি রেখে খান।

২. খাওয়ার আগে অবশ্যই এক জল খান।

৩. খাওয়ার সময় অবশ্যই চর্বিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে খান। খেলেও খুব কম করে খাবেন, বিশেষ করে মাছ ও মাংসের চর্বি, ঘি, মাখন, পনির ইত্যাদি।


৪. বাজি ধরে বা বন্ধুদের সঙ্গে সেলিব্রেট করার সময় খাবার না খেয়ে বরং কোথাও ঘুরে আসুন।
৫. খিদে না পেলে কখনও খাবেন না।
৬. ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুলো উচ্চ ক্যালরি ও উচ্চ ফ্যাটবহুল খাবার। এসব খাবারের সঙ্গে আপনি নিজের অজান্তেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালরি গ্রহণ করে ফেলেন।

৭. যতটা সম্ভব হাঁটাহাঁটি করুন। যেমন- কাছাকাছি দূরত্বে কোথাও হেঁটে যান, ওপরে উঠতে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন।

৮. কারো আশায় না থেকে নিজের ছোট ছোট কাজগুলো নিজেই করুন।
৯. স্ন্যাকস হিসেবে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।


১০. অনেকেই বলেন, সময়ের অভাবে এক্সারসাইজ করতে পারেন না, তাই যখনই সময় পান ফ্রিহ্যান্ড কিছু এক্সারসাইজ করুন। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসেই কিছু ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন।

১১. সপ্তাহে অন্তত এক দিন নিজের ওজন মাপুন। কারণ ওজন যদি স্বাভাবিক থাকে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। স্থূলতাকে ভয় না পেয়ে সহজভাবে একে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা উচিৎ। কারণ স্থূলতা বা ওজনাধিক্য থেকে পরে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাইপার টেনশন ইত্যাদি রোগ দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তির ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশও একান্ত কাম্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 9 =