স্যানিটাইজার ব্যবহারে সতর্কতা
মহামারির এই সময়ে প্রত্যেকেরই করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাত পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। চিকিৎসকরা ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান এবং জল দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে হাত ধোয়ার থেকে স্যানিটাইজারের ব্যবহার খুব বেশি হচ্ছে। এটি দিয়ে হাতকে জীবাণুমুক্ত করা সহজ, এক্ষেত্রে তবে সাবধান হওয়া খুবই জরুরি। সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, প্রত্যেকের অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত। আর এতে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকা জরুরি।
স্যানিটাইজারে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালকোহল থাকে এবং এটি প্রবল দহনযোগ্য হয়। তাই এটি ব্যবহার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। সব কিছু স্যানিটাইজ করার কোনও দরকার নেই। হাত স্যানিটাইজ করুন, কারণ হাত দিয়েই নাক এবং মুখ স্পর্শ করা হয়। এটি শিশুর থেকে দূরে রাখুন কারণ এটি মুখে গেলে বিষ হিসেবেও কাজ করতে পারে। ঘরে থাকলে এটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। পরিবর্তে, জল এবং সাবান ব্যবহার করুন।
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো সব সময় মনে রাখা জরুরি
১। স্যানিটাইজারে অনেক রকম ক্ষতিকারক রাসায়নিক রয়েছে। তাই, খাওয়ার আগে সব সময় হাত ধুয়ে ফেলুন।
২। আপনি যখনই কোনো স্যানিটাইজার কিনবেন, তখন দেখবেন এটিতে ট্রাইকোলসন নামে কিছু আছে কি না। এটি শরীরের ইমিউনিটি অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে অ্যালার্জিও হতে পারে। এছাড়াও দেহের হরমোনগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্যানিটাইজারে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
৩। স্যানিটাইজারে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল ব্যবহৃত হয়। এটি মদে ব্যবহৃত অ্যালকোহলের থেকে অনেকটাই আলাদা। আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল শরীরে গেলে সমস্যা দেখা দেয়। তাই এটি থেকে শিশুদের থেকে দূরে রাখা উচিত।
৪। স্যানিটাইজার লাগানোর পরে হাত চোখ থেকে দূরে রাখুন। তবে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার কার্যকর। তাই আপনি যদি জরুরি কাজের জন্য বাইরে যান তখন এটি আপনার কাছে রাখুন। তবে ঘরে ফিরে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধোবেন।
ধন্যবাদ।