ইমোশনাল ফোর্সের লেখক কাজুও ইশিগুরো

উদয় শংকর দুর্জয়, লন্ডন 

‘’চল আবার যৌবনে ফিরে যাই, হোক না শুধু সপ্তাহন্তে
চল আবার নির্বোধ হই, হারিয়ে যাই নতুন কোনো বসন্তে
চল পুনরাবৃতি করি
এর আগে আমরা যা যা করে ছিলাম’’
(দ্যা সামার উই ক্রসড ইউরোপ ইন দ্যা রেন/ কাজুও ইশিগুরো)

কাজুও ইশিগুরো একজন ব্রিটিশ উপন্যাসিক, যিনি ১৯৫৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত সেই নগরী, নাগাসাকিতে জন্ম গ্রহন করেন। বাবার হাত ধরে মাত্র পাঁচ বছর বয়েসে ইংল্যান্ডে চলে আসেন, তিনি সারির স্টাফটন প্রাইমারি স্কুলে অধ্যায়ন শুরু করেন। এ’লেভেল শেষ করে মাঝে কিছু সময় বিরতির পর, তিনি আবার ক্যানটারবারির কেন্ট ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচেলর অফ আর্টস পড়তে শুরু করেন। এর পর ১৯৮০ সালে, ইউনিভার্সিটি অফ ইস্ট অ্যাংলিয়া থেকে সৃজনশীল লেখালেখির উপর স্নাতকোত্তর সম্মান অর্জন করেন। সেই একই সময় আরও দুজন প্রখ্যাত উপন্যাসিক, ম্যালকম ব্রাডবারি এবং অ্যাঙ্গেলা কার্টার তাঁর সহপাঠী ছিলেন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৮৯, তাঁর এই ত্রিশ বছর ইংল্যান্ডে অতিবাহিত করার পর প্রথম বারের মতো জাপানে বেড়াতে যান। এই দীর্ঘ সময় তিনি শুধু কল্পনা করেছেন কেমন হতে পারে তাঁর স্বদেশ। আর এই দূরতম কল্পনা শক্তিই কাজুও ইশিগুরোকে তাড়া করেছে এক প্রান্ত থেকে অপার প্রান্ত; চিন্তার দ্রাঘিমা ভেঙে তিনি বারবার পাড়ি দিয়েছেন একটি ভিন্ন জগতে। প্রখর চিন্তা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে, তিনি এক একটি উপন্যাসের বিষয়বস্তু দাঁড় করিয়েছেন। ‘নেভার লেট মি গো’ উপন্যাস তাঁর একটি অসামান্য প্রয়াস। ইশিগুরো বেশি লেখেন না, ৬২ বছর বয়েসে তিনি অনেক বিখ্যাত লেখকদের তুলনায় খুব কম লিখেছেন। কিন্তু যা তিনি লিখেছেন তা অনবদ্য, স্বীকার করেই নিতে হবে যে, তাঁর সব সৃষ্টি সম্পূর্ণ মৌলিক এবং এক একটি মাইল ফলক। ইশি বলেন তাঁর প্রথম দুটি উপন্যাস ‘এ পেইল ভিউ অফ হিলস’ এবং ‘রিমেইন্স অফ দ্যা ডে’ ফেলে আসা কিছু জাপানিজ ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর ভিত্তি করে লেখা। আর এই ‘এ পেইল ভিউ অফ হিলস’ উপন্যাসটি থিসিস হিসেবে জমা দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে, যা পরে অর্থাৎ ১৯৮২ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়।
তাঁর মধ্যে একটি সতন্ত্রবোধ সেটা হলো ইমোশোনাল ফোর্স, যা সুইডিশ একাডেমি, বিশ্বের বাঘা বাঘা লেখকদের মধ্যে গত কয়েক বছর খুঁজে পানি নি। যেখানে তাদের সামনে হারুকি মুকারামি, মারগারেট অ্যাটউড, সালমান রুশদিদের মতো নাম কামানো সব লেখক পুরস্কারের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু বেনামী জাপান বংশদ্ভুত এই ব্রিটিশ নাগরিক সবাইকে ছাড়িয়ে জিতে নিলেন ২০১৭’র নোবেল।

দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকায় সুইডিশ একাডেমীর স্থায়ী সদস্য সারাদা নিয়াস বলেছেন- ‘’তিনি এমন একজন মানুষ যিনি অতীতের স্মৃতিরোমন্থনে দারুণ আনন্দ পান কিন্তু তিনি স্মৃতিভ্রষ্ট নন, তিনি অতীতকে বিনিময় করেন না, তিনি উন্মোচন করেন এই সমাজে বাঁচতে গেলে আমাদেরকে কি কি ভুলে যেতে হবে।‘’ তিনি আরও বলেন ‘’এটা আমার নির্ধারণ না, আমরা তাকে নির্বাচন করেছি কারন সে একজন প্রকৃতই মেধাবী উপন্যাসিক’’। কাজুও ইশিগুরোর নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতে ইংল্যান্ডের আরেকজন প্রাক্তন পোয়েট লরিয়েট Andrew Motion এভাবে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন—’ ইশিগুরোর কাল্পনিক পৃথিবীর একটি অন্তর্নিহিত শক্তি এবং গুন আছে যা একসঙ্গে স্বতন্ত্র এবং গভীরভাবে ঘনিষ্ঠ— একটি বিভ্রান্তকর পৃথিবী, বিছিন্নতা, অমঙ্গলতা এবং আশ্চর্যের’। তিনি আরও বলেন-‘ Among other means, by resting his stories on founding principles which combine a very fastidious kind of reserve with equally vivid indications of emotional intensity. It’s a remarkable and fascinating combination, and wonderful to see it, recognised by the Nobel prize-giver’.

ইশিগুরোর নোবেল বিজয়ের পর সুইডিশ একাডেমির এক অসাধারন উক্তি—একজন লেখক হিসেবে তাঁর উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে আবেগের শক্তিশালী উৎসধারা, যা এই জগত সংসারের সাথে আমাদের মায়াময় অনুভূতির এক গভীর সংযোগ রয়েছে, আর তিনি তা উন্মুক্ত করেছেন। ইশিগুরো ২০১৭ পর্যন্ত ৭টি উপন্যাস লিখেছেন যা প্রায় ৪০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

প্রথম উপন্যাস ‘এ পেইল ভিউ অফ হিলস’(১৯৮২) প্রকাশ পেয়েছিল যখন ইশিগুরো মাত্র সাতাশ বছরের যুবক। এই উপন্যাসেরমুলচিত্র, তিনি জাপান ও ব্রিটেনের প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি করেছেন। ইংল্যান্ডে বেড়ে উঠলেও তিনি বার বার ফিরে গ্যাছেন সেই যুদ্ধবিদ্ধস্ত নাগাসাকি শহরে যেখানে তার মাতা একদিন আহত হয়েছিলেন। তবে সে ফিরে যাওয়াটা বাস্তবের চেয়ে কল্পনায় বেশি। প্রবাসে বেড়ে ওঠা লেখকদের মধ্যে নস্টালজিয়া এসে বার বার ধরা দেয়। ডায়াস্পরা এই লেখক গভীর চিন্তায় নিজেকে মগ্ন রাখেন। একটি লেখা শুরু করার আগে তিনি প্রচুর পড়েন এবং লেখার একটি স্বতন্ত্র প্লট তৈরি করেন। উপন্যাস বা ছোটগল্প লেখার সময়, তিনিএকেবারেই কোনো ফিকশন পড়েন না। তিনি চান না, তাঁর লেখার মৌলিকত্ব কোনো ভাবে বাধাগ্রস্থ হোক।

ইশির ‘নেভারলেটমেগো’ উপন্যাসের ক্লোনিং মূল বিষয় থাকলেও প্যাথলজিক্যাল ম্যাটারগুলো উঠে আসেনি তাই একে সায়েন্স ফিকশন না বলে শুধুই ফিকশন বলাই শ্রেয় হবে। যদিও তিনি এমনটি দাবি করেননি। উপন্যাসটি তিনটি জীবনের গল্প নিয়ে গড়ে ওঠা, যেখানে অবিচলিতভাবে ক্ষয়ে যাচ্ছে জীবনের আশা ভরসা। মানুষ যখন একের পর এক হেরে যায় তখন ধুলিস্যাত হতে থাকে সব স্বপ্ন; এগিয়ে যাওয়ার সব রকমের রাস্তাগুলো সংকীর্ণ হতে থাকে। উপন্যাসে আরও বলা হচ্ছে নিরবতা কোনো পরিবর্তন এনে দিতে পারে না। প্রধান তিন চরিত্র ক্যাথি, টমি এবং রুথ— তারা সম্পূর্ণ ভাবে জানতো না তারা কি ভাবে নিজেদেরকে আগামির জন্য প্রস্তুত করবে, কারন তারা রূপান্তরিত; তারা তাদের অরিজিনদের নিয়ে উদবিগ্ন। এখানে আরও বলা হয়েছে সেক্স, ড্রাগ, ড্যান্স বা ম্যারাথন দৌড় তাদেরকে কি ভাবে পুনর্জীবিত করে, কি ভাবে আত্মপ্রত্যয়ী করে তোলে, ফিরে যেতে পারে একটি নতুন অধ্যায়ে। ফিরতে চাইলেই কি ফেরা যায় নতুন অধ্যায়ে! তারা এই একই জলবায়ুতে বেড়ে ওঠা মানুষতবু আর দশ জনের মত সাধারন মানুষ নয়। তারা ক্লোনড হিউম্যান, তাই ইচ্ছা করলেই সাধারন জীবনে ফিরতে পারে না। পূর্বে থেকে তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যেককেই অর্গান ডোনেট করতে হবে। আর এরই মাধ্যমে একসময় তাদের জীবন অবসান হয়।লেখক একটি অসাধারন গল্পের সাথে পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। এটাই কাজুও ইশিগুরোর মৌলিকত্ব। তিনি ধীরে ধীরে পাঠকদের টেনে নিয়ে যান গভীরতায় এবং এক নতুন জগতের সাথে চির অচেনাগল্পের দেখা করান।

২০০৯ সালের ৭ মে ইশির প্রথম গল্প সংকলন প্রকাশিত হয়। নকটার্নসঃ ফাইভ স্টোরিজ অফ মিউজিক অ্যান্ড নাইটফল নামের গল্প সংকলনটি বাজারে আনে ফেইবার অ্যান্ড ফেইবার প্রকাশনা সংস্থা। ইশির ছয় ছয়টি উপন্যাস প্রকাশ হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম গল্প গ্রন্থ। পাঁচটি গল্প দিয়ে মোড়কবন্দি এই বইয়ের প্রতিটি গল্পে রয়েছে সংগীত এবং সংগীত শিল্পীদের পদচারনা। গল্পগুলোর শিরোনামঃ ‘ক্রূনার’,‘কাম রেইন অর কাম সাইন’,মেইল্ভার্ন হিলস’,‘নকটার্ন’ ও ‘সেলিস্টস’। প্রতিটি গল্পের মধ্যে ফুটে উঠেছে হতাশা, স্থানচ্যুতি, পরাজয়, স্মৃতি বিস্মৃতির নানা আলেখ্য।‘নকটার্ন’গল্পে দেখা যায় একজন স্যাক্সোফোন বাদক ক্যালিফোর্নিয়ায়, অ্যামেরিকান এক ধন্যাঢ্য রমণীর সান্নিধ্যে নিজের চেহারাতে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে ফ্যালেন। ‘সেলিসিস্টস’ গল্পে দেখা যায় একজন হাঙ্গেরিয়ান সেলো বাদক একটা সময় টের পেল, তার শিক্ষিকা সে নিজেকে যেভাবে পাণ্ডিত্য দেখাতো আসোলে সে সেরকম পণ্ডিত নয়; তবুও সে নিজেকে বিজ্ঞ হিসেবেই দাবী করত।‘মেইল্ভার্ন হিলস’ গল্পে দেখা যায় কিভাবে একজন গীটার বাদক বিশ্বমানের রক সংগীতের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে না পেরে, লন্ডন ছেড়ে, ইংল্যান্ডেরই একটি কাউন্ট্রি সাইড মেইল্ভার্নে, তার বোন এবং দাদাভাইয়ের ক্যাফেতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এরকম টানপোড়েন, হতাশা, বিচ্ছেদ, বিষাদ নিয়ে মূলত গল্পগুলো রচিত হয়েছে এই গ্রন্থে।

ইশির গল্পগ্রন্থ প্রকাশের পর ব্রিটেনের পত্রিকা ‘দ্যা সানডে টাইমস’এ রবার্ট ম্যাকফারলেন (ভ্রমণ কাহিনী লেখক) লেখেন- “Closing the book, it’s hard to recall much more than an atmosphere or an air, a few bars of music, half-heard, technically accomplished, quickly forgotten’’.বইবন্ধকরে, স্মৃতিরোমন্থনকরা একটিআবহ, অথবা মায়াময় পরিবেশ, সুরের কিছু কারুকাজ, অশ্রুতি কিছু, যন্ত্রীয় সম্পাদনা এসব– দ্রুত কোনো কিছু ভুলে যাওয়ার চেয়ে অনেক কঠিন। ব্রিটেনের আরেকটি পত্রিকা Independent এ ছেপেছিল ক্রিশ্চিয়ান হাউস এর উক্তি- ‘’Ultimately this is a lovely, clever book about the passage of time and the soaring notes that make its journey worthwhile’’. অর্থাৎ অতিক্রমণ সম্পর্কিত এটা একটি দারুন এবং নিপুণ বই এবং সার্থক ভ্রমনের জন্য একটি উড়ন্ত চিরকুট। সুতরাং কাজুও ইশিগুরো সেই কাজটিই করেছেন সাফল্যের সাথে। তিনি স্মৃতি, কল্পনা, বাস্তবতাকে দুমড়ে মুচড়ে এক নতুন সৃষ্টি জাগিয়ে তুলেছেন। সুক্ষ বর্ণনায় ভরিয়ে তুলেছেন তার রচনাগুলো।

নোবেলপুরস্কারপ্রাপ্তিরপরতাঁরঅভিব্যাক্তি

‘’এটা একটা আকাশ ছোঁয়া সম্মান। আমি এখন বিখ্যাত লেখকদের তালিকায় অবস্থান করছি। সুতরাং এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। পৃথিবী এখন অস্থিতিশীল সময়ের পার করছে, আমি আশা করি সব নোবেল পুরস্কারগুলোর আলোকরশ্মি হয়তো কিছুটা হলেও আশার পথ দেখাবে। আমি অনুভব করেছি, এই অস্থিতিশীল সময়ের জন্য আমার কিছু করা উচিত যা পারিপার্শ্বিক অবস্থার উন্নতি করবে’’।তিনি আরও বলেন-“আমি যদিও এখানে(ব্রিটেনে) বড় হয়েছি লেখা পড়া করেছি তবুও আমার সৃষ্টিশীল অভিগমন জাপানিজ, কারন আমি আমার জাপানিজ বাবা মায়ের কাছে বেড়ে উঠেছি, জাপানিজ ভাষায় কথা বলছি, এবং আমি সবসময় আমার বাব মায়ের চোখ দিয়েই এই বিশ্বকে দেখেছি’’।

কাজুও ইশিগুরোর সাহিত্য ও অন্যান্য

এ পেইল ভিউ অফ হিলস (উপন্যাস,১৯৮২)
অ্যান আর্টিস্ট অফ দ্যা ফ্লোটিং অ্যাওয়ার্ড (উপন্যাস,১৯৮৬)
দ্যা রিমেইন্স অফ দ্যা ডে(উপন্যাস,১৯৮৯)
দ্যা আনক্লোসড(উপন্যাস,১৯৯৫)
হোয়েন উই অয়্যার অরফ্যান্স(উপন্যাস,২০০০)
নেভার লেট মি গো(উপন্যাস,২০০৫)
নকটার্নসঃ ফাইভ স্টোরিজ অফ মিউজিক অ্যান্ড নাইটফল(ছোটগল্প,২০০৯)
দ্যা ব্রিটিশ জায়ান্ট (২০১৫)
(সুত্রঃ ওয়েবসাইটস)

নাটকও চিত্রনাট্য

এ প্রোফাইল অফ আরথার যে ম্যাশন (টেলিভিশন ভিত্তিক ছায়াছবি,১৯৮৪)
দ্যা গৌরমেট (টেলিভিশন ভিত্তিক ছায়াছবি,১৯৮৭)
দ্যা স্যাডেস্ট মিউজিক ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড(অরিজিনাল স্ক্রীনপ্লে,২০০৩)
(সুত্রঃ ওয়েবসাইটস)

চলচ্চিত্র

কাজুও ইশিগুরোর রচিত দুটি উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচিত্র গুলো
দ্যা রিমেইন্স অফ দ্যা ডে(১৯৯৩)
নেভার লেট মে গো(২০১০)
এবং একটি আলাদাভাবে চিত্রনাট্য লেখেন
দ্যা হোয়াইট কান্ট্রিস(২০০৫) চলচিত্রের জন্য, সম্পাদনা করেন জন ডেইভিড অ্যালেন আর পরিচালনা করেন জেমস আইভরি
(সূত্রঃ ওয়েবসাইটস)

ছোট গল্প 

এ স্ট্রেঞ্জ অ্যান্ড সামটাইমস স্যাডনেস(১৯৮১)
এ ফ্যামিলি সাপার(১৯৮৩)
দ্যা সামার আফটার দ্যা অয়্যার(১৯৮৩)
অক্টোবর ১৯৮৫(১৯৮৫)
এ ভিলেজ আফটার ডার্ক(২০০১)
ক্রনার, কাম রেইন অর কাম সাইন, মেইল্ভার্ন হিলস, নকটার্ন ও সেলিস্টস– গল্প সংকলন(২০০৯)
(সুত্রঃ ওয়েবসাইটস)

গীতিকবিতা 

দ্যা আইচ হোটেল(২০০৭)
আই উইস আই কুড গো ট্রাভেলিং এগেইন(২০০৭)
ব্রেকফাস্ট অন দ্যা মর্নিং ট্রাম(২০০৭)
সো রোম্যান্টিক(২০০৭)
পোস্টকার্ড লাভারস(২০১১)
দ্যা সামার উই ক্রসড ইউরোপে ইন দ্যা রেন(২০১৩)
ওয়েটার ও ওয়েটার(২০১৩)
দ্যা চেইঞ্জিং লাইটস(২০১৩)
বুলেট ত্রেন(২০১৭)
দ্যা আইচ হোটেল, আই নো আই ড্রিম(২০১৭)
দ্যা আইচ হোটেল(২০১৩)
দ্যা চেইঞ্জিং লাইটস, আই নো আই ড্রিম(২০১৩)
(সুত্রঃ ওয়েবসাইটস)

অর্জন

‘এ পেইল ভিউ অফ হিলস’ এবং ‘দ্যা বারিড জায়ান্ট’ এই দুটি উপন্যাস ছাড়া কাজুও ইশিগুরো বাকি উপন্যাস এবং ছোট গল্প কোনো না কোনো ভাবে সম্মানিত পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।
১৯৯৮ সালে শিল্প ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক মন্ত্রালয় থেকে ‘দ্যা ওরডে ডেস আর্টস এট ডেস লেটারস’ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ এম্প্যায়ার(ব্রিটিশ অর্ডার অফ সিভারলি) এর পক্ষ থেকে প্রদান করা হয় ‘অর্ডার অফ দ্যা ব্রিটিশ এম্প্যায়ার’ পুরস্কার। শিল্প এবং বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। সাধারণত এটা ব্রিটিশদের আছে একটু গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অর্জন।
১৯৮৯ সালে অর্জন করেন ‘ম্যান বুকার প্রাইজ’। তাঁর প্রথম দিকের আলোচিত উপন্যাস ‘রিমেইন্স অফ দ্যা ডে’র জন্য তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়।
১৯৮২ সালে উপন্যাস ‘পেইল ভিউ অফ হিলস’ এর জন্য প্রথম সম্মাননা অর্জন করেন। ‘উইনফ্রেড হল্টবি মেমোরিয়াল প্রাইজ’ যার নামে এই পুরস্কার প্রদান করা হয় তিনি ছিলেন একজন ইংরেজি ভাষার একজন উপন্যাসিক এবং সাংবাদিক।
‘অ্যান আর্টিস্ট অফ দ্যা ফ্লোটিং ওয়ার্ল্ড’ উপন্যাসের জন্য ১৯৮৬ সালে পান ‘হোয়াইটব্রেড প্রাইজ’। ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডের লেখকদের মাঝে ‘কোষ্টা বুক এ্যাওয়ার্ড’ যা একসময় হোয়াইটব্রেড এ্যাওয়ার্ড নামে প্রচলিত ছিল।
২০০৫ সালে টাইম ম্যাগাজিনে একশ বিখ্যাত ইংরেজি ভাষার লেখক তালিকায় তাঁর নাম উঠে আসে।
২০০৮ সালে তিনি নিজেকে আরও সামনের সারিতে দেখতে পান। ‘দ্যা টাইম’ এর একটি শর্টলিস্টে তিনি অবস্থান করেন বত্রিশ নম্বরে। আর এই গণনা করা হয় ১৯৪৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল অবধি ইংরেজি ভাষার লেখকদের মধ্যে।
২০১৭ তে নক্ষত্রের আলো এসে ঠিকরে পড়ে সরাসরি কাজুও ইশিগুরোর বাড়িতে। নোবেল কমিটি তাঁর অনবদ্য সাহিত্য কর্মের জন্য তাঁকে। সুইডিশ একাডেমি তাঁর কোনো একটি নির্দিষ্ট বইয়ের উপর তাঁকে পুরস্কৃত না করলেও তাঁর দুটি উপন্যাস ‘দ্যা রিমেইন্স অফ দ্যা ডে’ এবং ‘নেভার লেট মি গো’ তাদের কাছে দারুনভাবে প্রশংসিত। দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকার মাধ্যমে তাদের অভিব্যাক্তির কথা জানা যায় এভাবে- ‘Uncovered the obyss beneath our illusory sense connection with the world and were driven by a great emotional force’.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =