সাঁঝ বেলার রোদ

তমালিকা গোলদার

##

৪ঠা মে পলাশ দাদাভাই-এর ফেসবুক পোস্ট থেকে ৮ ই জুলাই-এর গমগমে সন্ধ্যা … দুবেলা রিহার্সাল, অনেক আলোচনা, প্ল্যানিং এর পর ঘর সাজানোর অক্লান্ত পরিশ্রমের আড্ডার আলাপের নতুন বন্ধুত্বের রোদ ঝলমলে কতগুলো দিন…
গত ৮ ই জুলাই রোদ্দুরের বৈঠকি আড্ডা বসেছিল গোবরডাঙ্গার বরদাকান্ত সাধারণ পাঠাগারে। প্রথমেই বলি, আমরা ভেবেছিলাম মূলত ফেসবুকের মাধ্যমেই সবাইকে আমন্ত্রন জানাব… আমাদের সে পরিকল্পনায় জল ঢেলে সরকারী নির্দেশে গোটা এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেল অনুষ্ঠানের ঠিক ৪ দিন আগে। তা সত্ত্বেও যে সহযোগিতা আর উপস্থিতি মিলেছে তা আশাতীত। ভালবাসায় ভাঁটা পড়েনি একটুও।
আমাদের ‘রোদ্দুর’ কে ছাতার মত সব সময় ভরসা দিয়েছেন যে মানুষটি, যে মানুষটি না থাকলে অনুষ্ঠানটাই হয়ত হত না, পলাশ মুখোপাধ্যায়। পলাশ দাদাভাই…অনেক ভালবাসা রইল…
পাশে পেয়েছি সব সময় স্মৃতিকণা গোলদার, নারায়ণ বণিকের মত মানুষদের।
যাদের ভালবাসা আশীর্বাদ আমাদের চলার পথ মসৃণ করেছে – অশোক দা, সৈকতদা, সৌমিদি, তনুশ্রী দি, মানিক কাকু, মিঠু কাকিমা সবাইকে অনেক ধন্যবাদ…
অনুষ্ঠানের কথায় আসি… সব্বাইকে এক ডাকে পেয়েছি।
প্রথমে বলি শুভ্রজ্যোতির কথা… ওর সরোদ সেদিন যারা শুনতে পেলেন না সত্যি খুব মিস করলেন। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত সৃজনের… মুগ্ধ হয়ে শুনেছি সবাই।
শিঞ্জিনী, সোহিনী, নন্দনা, সম, পুসান… খুউউউউউউব ভাল গেয়েছে। সৈকতদার গান যতবারই শুনি কানে আলাদা আরাম দেয়। পুষ্পেন্দু সৌম্যদীপ সৃজনের বাজনা অনবদ্য। ইমনের পাঠ, আকাশ-মিতুনের ‘কথোপকথন’, ঝোরাদির পাঠ আলাদা মাত্রা এনেছে… সব মিলিয়ে এক্কেবারে জমজমাট ।
আর ছিল আমাদের বিশেষ আকর্ষণ ‘একঝাঁক ইচ্ছেডানা’। আকাশ, পোলো, সম, পুসান, ইমন, তমালিকা, দেবদীপ, শিবমকে সঙ্গে নিয়ে অনেকগুলো ভাললাগা গানের একটি কোলাজ। আকাশ বড্ড সুন্দর করে একসাথে বেঁধেছে গানগুলো। যারা সেদিন থাকতে পারেননি তাদের জন্য খুব শিগগিরি ভিডিও পোষ্ট করবো আমরা। ভিডিওর জন্য জয়ন্তদাকে অনেক ধন্যবাদ ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ পাওনা ‘ যশোররোড গাছ বাঁচাও কমিটি’ র উপস্থিতি। অনির্বাণের মন্ত্রমুগ্ধ করা বক্তৃতা আরেকবার আশা জোগাল – গাছগুলো হয়তো আমরা বাঁচাতে পারব।
আর যাদের কথা না বললেই নয়, যারা না থাকলে আমাদের ভরাডুবি হতো… শিবম আর বাও। বাজার করা থেকে ফটো তোলা ঘর সাজানো থেকে শেষ পাতে টিফিন বিলি অবদি সবসময় সবকাজে ছিল ওরা। পোলো আর ইমনদার হাতের কাজ আর তাতে জয়ন্তদার কারুকার্য সাধারণ একটা ঘরকে অসাধারণ করে তুলেছে।

ছোট্ট একটা উদ্যোগ, খুব আন্তরিক, ঘরোয়া, কাছের… কোন ভাবেই সফল হত না সকলের সহযোগিতা ছাড়া। পরের বছর বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে অনুষ্ঠানটি করবার অনুরোধ এসেছে আমাদের কাছে। আগামী বছরও যেন এইভাবেই সকলকে পাশে পাই… সেই ভরসা বুকে নিয়ে এই সুন্দর মুহূর্তগুলো সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম…







Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + 8 =