সম্পাদকীয়

দেখতে দেখতে অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেল। চারিদিকে পুজোর আবহ। অনিবার্য ভাবেই মনে পড়ে ছোটবেলার দিনগুলোর কথা। নব্বইয়ের দশক, আমরা তখন কিশোর-কিশোরী বা সদ্য যুবক, অবেক্ষণ তখন শিশু। মনে পড়ে পুজোর আগে আগে এই সময়টাতে আমরা অনেকে মিলে অবেক্ষণ পত্রিকা বিক্রি করতে যেতাম বাড়ি বাড়ি। গোবরডাঙ্গা তো বটেই হাবড়া, অশোকনগরেও চলে যেতাম আমরা। হাতে থাকত অবেক্ষণ শারদ সঙ্কলন, মাত্র এক টাকা দাম ছিল। আমাদের প্রায় কেউই ফেরাতেন না। তাই আমাদের পত্রিকা ছিল সমসাময়িক আশপাশের আর পাঁচটা পত্রিকার চেয়ে সর্বাধিক বিক্রিত। সে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। প্রতি বছর নিয়মিত যাওয়ার জন্য আমাদের প্রায় সকলেই চিনে গিয়েছিলেন। শেষের দিকে আর কিছু বলতে হত না, ওরাই এক টাকা দিয়ে নিয়ে নিতেন অবেক্ষণ। ভাল লাগত। এরপর কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। সেই কিশোর কিশোরীরা এখন পূর্ণ বয়স্ক যুবক বা যুবতি। অবেক্ষণের বয়সই ২৫ ছুঁতে চলল। দূরে থেকেও অনেকেই খোঁজ খবর নেয় পত্রিকার। অনলাইন হওয়ার সুবাদে সক্রিয় অংশও নেয় অনেকে। সেটাও ভাল লাগার একটা বড় কারন।
ওয়েব পোর্টাল হওয়ার পর ধারে ও ভারে বেশ কিছুটা বেড়েছে আমাদের পত্রিকা। দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশেও পাঠক পাঠিকার প্রশংসা কুড়োতে সক্ষম হয়েছে টিম অবেক্ষণ। বেড়েছে লেখকের সংখ্যাও। বহু দূরদূরান্ত থেকে লেখা পাঠান লেখকেরা। তাদের ভালবাসা, আন্তরিক চেষ্টায় সমৃদ্ধ হয়েছে অবেক্ষণ। তাদের কাছে আমরা ঋণী। পাশাপাশি পত্রিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠানেরও সফল আয়োজন করেছে অবেক্ষণ। সেখান থেকেও মিলেছে দর্শকদের প্রশ্রয়। সব মিলিয়ে আপনাদের আদরে আর্দ্র হয়েই এগিয়ে চলেছে অবেক্ষণ। এমন করেই পাশে থাকবেন, পাশে রাখবেন।
সকলে ভালো থাকবেন। বিজয়া, দীপাবলি এবং বড়দিনের আগাম শুভেচ্ছা রইল।

পলাশ মুখোপাধ্যায়
সম্পাদক
অবেক্ষণ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + ten =