খোঁজ-নিখোঁজ

অরিন্দম ভাদুড়ী, চুঁচুড়া, হুগলি

আলফা কলিং ডেল্টা,আলফা কলিং ডেল্টা…
ডেল্টা হিয়ার…
মুভমেন্টস অন গারো পিক্,অ্যাক্ট ফাস্ট !
ডেল্টা কলিং,কপি দ্যাট…
মুহূর্তে সাইরেন,অল বয়েজ্ রিপোর্ট টু দ্য কনফারেন্স রুম |
কমান্ডিং অফিসারের নির্দেশে ঘড়ি ধরা পাঁচ মিনিটে ইউনিফর্মড বাইশ জন ক্যাডেট কনফারেন্স রুমে | মিশন বুঝে নিয়ে বাইশটি শক্ত চোয়াল গিয়ার -আপ হয়ে দৌড় লাগালো অপেক্ষারত তিনটি এম-আই ১৭ চপারের দিকে |
হিমাদ্রি ও পঞ্চম একসাথে,সেই অ্যাকাডেমি থেকে,অভিন্নহৃদয় | দরজা বন্ধ হলো,সাথে গম্ভীর ইঞ্জিনের শব্দ |
“পঞ্চম,কটা ভালো গান দে না ব্লু-টুথে !”
অন কর,এটা আমার ফেভারিট,দিচ্ছি |
“কিসি দিন বনুঙ্গা ম্যায় রাজা কী রানি,
জারা ফিরসে ক্যাহনা”
এগিয়ে আসছে টার্গেট পয়েন্ট,বেল্ট লাগিয়ে অর্ধঝুলন্ত হিমাদ্রি স্নাইপারে,সজাগ | তিনটে চপার সাঁক্-সাঁক্ শব্দে উঠে আসছে পাহাড়ের গা ঘেঁষে,আর ক্রমশ নীচু হচ্ছে পাহাড়ের পিক্,স্পষ্ট হয়ে উঠছে সাবাই ঘাসের জঙ্গল !
বেশ কিছু সেনা দড়ি বেয়ে নেমে পড়লো ঘাসজমিতে,সাথে সাথেই র্যাপিড ফায়ার ! উত্তর দিতে দেরি করেনি সেনারা,চপারে স্নাইপারের শক্তিশালী টেলিস্কোপ আর প্রশিক্ষিত আঙুল ফসকাতে দেয়নি একটি বুলেট-ও !
ঘড়িতে পৌনে তিনটে,হঠাৎই হিমাদ্রির চোখ টেলিস্কোপে দেখলো পঞ্চম ও এক অনাগত একই লাইনে,এই অন্ধকারে বিনা নাইট ভিশনে যা দেখা পঞ্চমের সম্ভব না ! মুহূর্তে বিস্ফোরনের শব্দ ইয়ারফোনে,তীব্র আলোর ঝলকানি ! সুইসাইডাল গ্রেনেড অ্যাটাক !
গারো পাহাড় জঙ্গি মুক্ত হলো একদম পাঁচটায়,ওয়্যারলেসে কমান্ডিং সাহেবের ঘোষণা “কংগ্র্যাচুলেশন বয়েজ্,মিশন অ্যাকম্প্লিজড”
সাবাই ঘাসের জঙ্গল পাগলের মতো হাতড়াতে হাতড়াতে হিমাদ্রি বিড়বিড় করছে—
“মিশন শেষ কি করে হয় ? পঞ্চমের একটা হাত পাচ্ছি না যে !”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 1 =