ঘর সাজাতে পর্দা

চন্দ্রমল্লিকা

ঘরে পর্দার ব্যবহার সব সময়ই ছিল। তবে আগের সময়ে পর্দা ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। তখন পর্দা ঘরে প্রধানত আড়াল করার পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হলেও এখন তা হয়ে উঠেছে অন্দর সজ্জার উপাদান। সুন্দর বাড়ি যেমন আভিজাত্য ও উন্নত রুচির পরিচয় বহন করে, তেমনি ঘরের জানালা ও দরজায় মানানসই পর্দা ঘরে বসবাসকারীদের প্রশান্তি দিতে পারে। জানালা ও দরজায় যথাযথ পর্দার ব্যবহার ঘরে চমৎকার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। জানালা ও দরজার পর্দা দুই, তিন বা চার ভাগ ওপরের ঝালর দেয়া প্রভৃতি বিভিন্নভাবেই দেয়া যায়। এ জন্য কিছু বিষয়ের দিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা উচিত।

ঘরের সৌন্দর্য ও আকর্ষণ যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য দেয়ালের রঙ, আসবাবপত্রের রঙ ও গঠন, দরজা জানালার আয়তনের সাথে মিল রেখে পর্দা টাঙানো উচিত।
ঘরের আকার যদি ছোট হয় সেখানে গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার না করাই ভালো। অন্য দিকে, হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করলে ছোট আয়তনের ঘরকে বড় দেখায়।
একইভাবে সমান্তরাল ও আড়াআড়ি লাইনের পর্দা ব্যবহার করলে বড় ঘরকে ছোট মনে হবে।
কখনো কখনো আঁকাবাঁকা বা একই ধরনের লাইনের পর্দার ব্যবহার মনোমুগ্ধকর ছন্দের সৃষ্টি করে।
ছোট আয়তনের ঘরে লম্বা প্রিন্টের পর্দা বেশি মানানসই। এতে ঘর বেশি বড় মনে হয়।
যে ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ বেশি করে সে ঘরের জন্য মোটা কাপড়ের আর আলো কম প্রবেশ করলে পাতলা কাপড়ের পর্দা ব্যবহার বেশি উপযোগী।
সাধারণত দুই ধরনের নকশার পর্দা ব্যবহার করা হয়। সম্পূর্ণ জানালা-দরজাকে আবৃত করে, অন্যটা অর্ধেক আবৃত করে।


বেডরুমে হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার বেশি মানানসই। তবে বেডকভার, চাদর প্রভৃতির সাথে মিল রেখে পর্দা ব্যবহার করলে সেটা রুচির পরিচয় দেয়।
প্রিন্টের পর্দার ঘরকে অগোছালো মনে হয়, তাই নকশা সব সময় হালকা হওয়া উচিত। তবে পর্দা একরঙের হলে সবচেয়ে ভালো হয়।
ঘর ছোট হলে ঝালর দেয়া পর্দা ব্যবহার না করাই ভালো, এতে ঘরকে বেশ অগোছালো দেখায়।
বড় ঘরে ঝালর দেয়া কিংবা ডবল পর্দা ব্যবহার করা যায়। এতে ঘরকে বেশ জৌলুসময় দেখায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 4 =